কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্ক।।
চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাইয়ের হিঙ্গুলী, দুর্গাপুর, ওয়াহেদপুর ও পার্শ্ববর্তী বারৈয়াঢালা বহু আগে থেকেই পান চাষের জন্য বিখ্যাত। তবে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়া, বাজারে কম দাম এবং প্রয়োজনীয় ঋণ ও প্রশিক্ষণের অভাবে বর্তমানে এসব এলাকায় পান চাষের আর সুদিন নেই। ক্রমাগত লোকসানের কারণে চাষীরা পান আবাদ থেকে সরে যাচ্ছেন।
স্থানীয় চাষীরা জানান, বারইয়ারহাট ও মিঠাছড়া বাজারে সপ্তাহে তিনদিন পানের বাজার বসে। একসময় এ দুই বাজারে প্রতি হাটে প্রায় কোটি টাকা লেনদেন হতো। তবে এখন তা অর্ধেকে নেমে এসেছে। কমে গেছে পানের দাম।
তারা আরো জানান, বরজ তৈরির জন্য মহাজনদের কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ করতে হয়। যথাসময়ে সুদের টাকা পরিশোধ করতে গিয়ে চাষীদের পান বিক্রি করতে হয় কম দামে। তাছাড়া বরজের জন্য প্রয়োজনীয় বাঁশ, ছন ও খৈলের সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে এসব উপকরণের দাম বেড়ে গেছে। খৈল না দিলে পানগাছের গোড়ায় পচন ধরে। আগে পাহাড় থেকে বাঁশ ও ছন সংগ্রহ করা হতো। কিন্তু এখন সহজে এগুলো সংগ্রহ করা যাচ্ছে না।
উপজেলা পানচাষী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রতন বিহারী সেন জানান, কৃষি বিভাগের সঠিক পরামর্শ না পাওয়ায় অনেক চাষী খৈলের পরিবর্তে ইউরিয়া সার ব্যবহার করছেন। এতে বরজের প্রচুর ক্ষতি হয়। এ বিষয়ে পানচাষীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।
মিরসরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ জানান, পানচাষীদের জন্য প্রশিক্ষণসহ প্রণোদনার ব্যবস্থা করা হবে। আশা করা হচ্ছে, সঠিক পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে এ অঞ্চলের পানের ঐতিহ্য রক্ষা করা সম্ভব হবে।
তথ্যসুত্র, দৈনিক বনিক বার্তা/ কৃপ্র/এম ইসলাম