কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্ক।।
ঢাকায় উদযাপিত হবে দুই দিনব্যাপী নবান্ন উৎসব। আজ বৃহস্পতিবার থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার বকুলতলায় এ উৎসব শুরু হবে আর শেষ হবে শুক্রবার নভেম্বর।
‘এসো মিলি সবে নবান্নের উৎসবে’-স্লোগানকে নিয়ে প্রতিবছরের মতো এবারও উদযাপিত হবে এ নবান্ন উৎসব। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ১ মিনিটে উৎসবের সূচনা হবে বাঁশির সুরে। উৎসবের উদ্বোধন করবেন সংস্কৃতিজন রামেন্দু মজুমদার।
উৎসবে যথারীতি নৃত্য, সঙ্গীত, আবৃত্তি, নবান্ন কথন, ঢাক-ঢোলের বাদন, যন্ত্রসঙ্গীত পরিবেশিত হবে। আদিবাসী গারোদের ওয়ানগালা নৃত্য এবং সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে নবান্ন শোভাযাত্রা।
নবান্ন শোভাযাত্রাটি ঢাবির চারুকলার বকুলতলা থেকে বের হয়ে টিএসসি চত্বর হয়ে বকুলতলায় ফিরে যাবে। এ বছরের উৎসবটি উৎসর্গ করা হবে সদ্যপ্রয়াত বিশিষ্ট সাংবাদিক, কবি, কলামিস্ট শুভ রহমানের প্রতি।
দুইদিনের উৎসবে ৬৮টি সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ প্রায় ১২০০ শিল্পী সঙ্গীত, নৃত্য ও আবৃত্তি পরিবেশন করবেন। এদের মধ্যে উদীচী শিল্পগোষ্ঠী, কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসর, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি, স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, টাঙ্গাইলের মহাদেব সংযাত্রার দল, নড়াইলের পটগানের দল উল্লেখযোগ্য।
নবান্ন উৎসবের আহ্বায়ক শাহরিয়ার সালাম বলেন, কৃষি সভ্যতার শুরু থেকেই ফসল তোলার উৎসব উদযাপিত হয়। বাংলাদেশের সব ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক গোষ্ঠীর প্রধান উৎসব ‘নবান্ন’। কিন্তু দুঃখের বিষয় বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ হওয়া সত্ত্বেও বর্তমানে রাষ্ট্রীয়ভাবে তো দূরের কথা, সাড়ম্বরে দিবসটি উদযাপনই কষ্টসাধ্য।
তিনি বলেন, কয়েক বছর ধরে পহেলা অগ্রহায়ণকে ‘জাতীয় নবান্ন উৎসব দিবস’ ঘোষণার দাবি জানানো হচ্ছে। আবার পহেলা অগ্রহায়ণকে কৃষি দিবস ঘোষণা করা হলেও তা সরকারিভাবে পালিত হচ্ছে না।
আমাদের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ বছর মন্ত্রিসভায় পহেলা অগ্রহায়ণকে ‘জাতীয় নবান্ন উৎসব দিবস’ ঘোষণার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করেও ‘অধিকতর পরীক্ষা- নিরীক্ষার জন্য’ মন্ত্রণালয়ে ফেরত পাঠিয়েছে। তবে আমরা আশাবাদী সংস্কৃতিবান্ধব বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সাহসী ভূমিকায় একদিন নবান্ন উৎসবের রাষ্ট্রীয় আয়োজন বা সরকারি ছুটির ঘোষণা আসবে।
কৃপ্র/এম ইসলাম