কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্ক।।
মেহেরপুরের আমবাগানগুলো আমের গুটিতে ভরে গেছে। গাছে গাছে মুকুলের ছড়াগুলো আমের ভারে ডাল নুয়ে পড়তে শুরু করেছে। এবারও মেহেরপুরে আমের অনইয়ার। এবারও আমের বাম্পার ফলনের আশা করছে আমচাষি ও জেলা কৃষি সম্পাসারণ অধিদপ্তর।
উৎপাদনের দিক থেকে রাজশাহী প্রথম হলেও স্বাদের দিক থেকে মেহেরপুরের আম প্রথম। মাটি ও আবহাওয়ার কারণে মেহেরপুরের সুস্বাদু হিমসাগর আম দেশের বাইরে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে তার মাহাত্ম ছড়িয়েছে। কিন্তু মেহেরপুরের আম চাষিদের সাথে কথা না রাখায় গতবছর থেকে রপ্তানীকারক প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তিবদ্ধ চাষিরা ব্যাগ পদ্ধতিতে আমচাষ বন্ধ করে দিয়েছে। মেহেরপুর জেলার ১১ হাজার আমচাষি রয়েছে।
আমের গুটির সমারোহে আম চাষিদের মনে সোনালী স্বপ্ন দোলা দিচ্ছে। আমচাষিদের ব্যস্ততা বলছে এবার প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে চাষিরা লাভবান হবে।
কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, ফেব্রুয়ারি মাসেই প্রতিটি গাছেই পুরোপুরিভাবে মুকুল ফুটে গেছে বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে এ বছর আমের বাম্পার ফলন হবে।
মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মো.আক্তারুজ্জামান বলেন, আমচাষে প্রথমে আছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহী। কিন্তু স্বাদে মেহেরপুর। মেহেরপুর আম সুস্বাদু হওয়ায় বিশেষ করে নিয়মিত জাত ল্যাংড়া, গোপালভোগ, ক্ষীরসাপাতি, আশ্বিনা জাতের বাগান বেশি থাকলেও গবেষণাকৃত বারি-৩, বারি-৪ জাতের বাগান তৈরির ক্ষেত্রেও আগ্রহী হয়ে উঠছে অনেকে। সেই সঙ্গে নতুন নতুন বনেদি ও হাইব্রিট জাতের আম বাগান তৈরি হচ্ছে।
নিয়মিত যত্ন নিলে আমের অফ ইয়ার বলে কিছু থাকে না। প্রতিবছরই বাগানে আম আসবে বলে তিনি জানান। জেলায় ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে আমবাগান রয়েছে। ২০০ জাতের আম উৎপন্ন হয় মেহেরপুরে।
তথ্য সুত্র- বাসস/ কৃপ্র/এম ইসলাম