কৃষি প্রতিক্ষন ডেস্ক : ইসলামের বিধান অনুসারে খেজুর দিয়ে ইফতার করা সুন্নত। সারাদিন রোজা রাখার পর বেশিরভাগ সময় মানুষ খেজুর দিয়ে ইফতার করেন। খেজুর অতি পরিচিত একটি ফল হলেও মিষ্টি মধুর ছোট এই ফলটির রয়েছে অনেক গুণ। খেজুরকে আরবিতে ‘তুমুর’ বলে। বিশ্বের অর্ধেকের বেশি খেজুর হয় সৌদি আরবে। জনপ্রিয় খেজুরগুলো হলো আজুয়া, আনবারা, সাগি, সাফাওয়ি, মুসকানি, খালাস, ওয়াসালি, বেরহি, শালাবি, ডেইরি, মাবরুম, ওয়ান্নাহ, সেফরি, সুক্কারি, খুদরি ইত্যাদি।
আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সারা দিনের ক্লান্তি দুর করতে প্রতিদিন একটি করে খেজুরই যথেষ্ট। একটি খেজুরে আছে সারা দিনের ক্লান্তি কাটানোর সব উপাদান। সৌদিতে কথিত আছে, বছরে যতগুলো দিন আছে, খেজুরে তার চেয়েও বেশি গুণ রয়েছে। তাই খেজুর কেবল ক্লান্তি দূর করে না, বরং শরীরে প্রয়োজনীয় ভিটামিনেরও জোগান দেয়। তবে সৌদির স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় অতিরিক্ত খেজুর খাওয়ার ব্যাপরে সাবধানও করেছে।
কেন খাবেন খেজুর?
খেজুরে রয়েছে এমিনো এসিড, প্রচুর শক্তি, শর্করা ভিটামিন ও মিনারেল। রোজায় দীর্ঘ সময় খালি পেটে থাকার কারণে দেহে প্রচুর গ্লুকোজের ঘাটতি দেখা দেয়। খেজুর শরীরের এই প্রয়োজনীয় গ্লুকোজের ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন ইফতারে খেজুর খাওয়া উচিত।
এছাড়াও খেজুরের রয়েছে আরও অনেক উপকারীগুণ। এগুলো হলো-
১. খাদ্যশক্তি থাকায় দুর্বলতা দূর হয়
২. খেজুর স্নায়ুবিক শক্তি বৃদ্ধি করে
৩. হৃদরোগীদের জন্যও খেজুর বেশ উপকারী
৪. খেজুর রক্ত উৎপাদনকারী
৫. হজমশক্তি বর্ধক, যকৃৎ ও পাকস্থলীর শক্তিবর্ধক
৬. রুচি বাড়ায়
৭. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
৮. দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়
৯. ফুসফুসের সুরক্ষার পাশাপাশি মুখগহ্বরের ক্যান্সার রোধ করে
১০. অন্তঃসত্ত্বা নারীর সন্তান জন্মের সময় খেজুর খেলে জরায়ুর মাংসপেশির দ্রুত সংকোচন-প্রসারণ ঘটিয়ে, প্রসব হতে সাহায্য করে। এমনকি প্রসব-পরবর্তী কোষ্ঠকাঠিন্য ও রক্তক্ষরণ কমিয়ে দেয়।
১১. খেজুরে আছে ডায়েটরই ফাইবার যা কোলেস্টেরল থেকে মুক্তি দেয়।
কৃপ্র/কে আহমেদ/ এম ইসলাম