কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, কৃষি জমির উর্বরা শক্তি বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। মাটির সুস্বাস্থ্য সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে শস্য বহুমুখীকরণের মাধ্যমে বর্তমানে ফসল চাষ করা হচ্ছে। সংসদে সরকারি দলের সদস্য বেগম হাজেরা খাতুনের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। কৃষিমন্ত্রী বলেন, মৃত্তিকা উর্বরতা মানের ভিত্তিতে বিভিন্ন ফসলের চাহিদা অনুসারে সুষম সার ব্যবহারের লক্ষ্যে এসআরডিআইয়ের কেন্দ্রীয় ও ১৫টি আঞ্চলিক মৃত্তিকা পরীক্ষাগারের মাধ্যমে ২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে এখন পর্যন্ত মাটি পরীক্ষা করে প্রায় এক লাখ ১৫ হাজার জন কৃষককে ফসল ভিত্তিক সুষম সার সুপারিশ কার্ড প্রদান করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর এখন পর্যন্ত জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ১২০০ জন কৃষি সমপ্রসারণ কর্মকর্তা, ব্লক পর্যায়ের চার হাজার জন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা এবং ৫০ হাজার জন কৃষককে বিভিন্ন মেয়াদে ভূমি ও মৃত্তিকা সম্পদ ব্যবহার নির্দেশিকা ব্যবহার, মাটির নমুনা সংগ্রহ, মাটির উর্বরতার ভিত্তিতে সুষম সার ব্যবহার, সরজমিনে ভেজাল সার সনাক্তকরণ, লবণাক্ত ও পাহাড়ি ভূমি ব্যবস্থাপনায় জৈব সার তৈরি ও মাটির উর্বরতামান বৃদ্ধিতে সহায়ক বিভিন্ন বিষয়ে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। তিনি বলেন, মাটির উর্বরতা ও উত্পাদন ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য দরকার যথাযথ সার ব্যবস্থাপনা। ভেজাল সারের বিস্তার রোধে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট ২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ২৪ হাজারটি সারের নমুনা বিশ্লেষণ করছে। এর ফলে ভেজাল সার বাজারজাতকরণের প্রবণতা বহুলাংশে কমে এসেছে। ফলে মাটি দূষণের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে।
কৃপ্র/ এম ইসলাম