কৃষিশিক্ষাকে কেউ যাতে খাটো করে দেখতে না পারে- প্রধানমন্ত্রী
কৃষিবিদ ফরহাদ আহাম্মেদঃ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে কৃষিশিক্ষা ঐচ্ছিক (চতুর্থ) বিষয়ের গ্রুপে দিয়েছে। এতে ছাত্র-ছাত্রীরা কৃষিশিক্ষা পড়তে চায় না। কৃষিপ্রধান দেশে কৃষিশিক্ষা অবহেলিত হয়েছে। কৃষি কারিগরি ও প্রায়োগিক হওয়ায় কৃষির মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন করে কৃষি খামার, হাঁস-মুরগির খামার, গবাদিপশুর খামার, ফুল, ফল, শাক-সবজি চাষসহ বিভিন্ন কৃষিপণ্য উত্পাদন করা সম্ভব। কৃষি কাজ করে ঝরে পড়া ছাত্র-ছাত্রী এবং উচ্চশিক্ষিত সকলেই বেকারত্ব দূর করতে পারে। অন্যদিকে দেশে কৃষিপণ্যের চাহিদা পূরণ করে বিদেশে রপ্তানি করা যাবে।
একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে কৃষিশিক্ষায় ব্যবহারিক নম্বর ৪০ থেকে কমিয়ে ২৫ করা হয়েছে। এটা করাও ঠিক হয়নি। কৃষক লীগের ৪৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কৃষিতে ব্যবহারিক শিক্ষা দেওয়ার জন্য ঐ খামারে নিয়ে যেতে হবে এবং ব্যবহারিকে নম্বর বাড়িয়ে দিতে হবে কৃষিশিক্ষাকে কেউ যাতে খাটো করে দেখতে না পারে। দেশের বেকারত্ব ও দারিদ্র্যতা দূরসহ সার্বিক উন্নয়নের কথা চিন্তা করে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে কৃষিশিক্ষা সকল গ্রুপের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আবশ্যিক অথবা নৈর্বাচনিক করা প্রয়োজন। অতএব বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আকুল আবেদন করছি।
কৃপ্র/ এম ইসলাম