গাড়ি ও পরামর্শকেই প্রকল্পের এক-তৃতীয়াংশ অর্থ ব্যয় হয়- পরিবেশ ও বনমন্ত্রী
কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, কৃষির জন্য পানি এখন আমাদের সবচেয়ে বড় সংকট। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অনেক সময় আমরা অনেক পানি পাই, আবার প্রয়োজনের সময় যথেষ্ট পরিমাণে পানি পাই না। এই সমস্যা দীর্ঘায়িত হলে তা খাদ্যনিরাপত্তার জন্য সংকট বয়ে আনবে। তাই জলবায়ুর অভিযোজন মোকাবিলায় কৃষিকে যেমন গুরুত্ব দিতে হবে, তেমনি পানি ব্যবস্থাপনায় আরও সতর্ক থাকতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় ‘কৃষিক্ষেত্রে অভিযোজন প্রকল্প’ ‘অর্জন ও করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে গতকাল বৃহস্পতিবার এ কথা বলেন।
সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড এ সেমিনারের আয়োজন করে। সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন বলেন, দেশের প্রকল্পগুলোতে গাড়ি ও পরামর্শকেই প্রকল্পের এক-তৃতীয়াংশ অর্থ ব্যয় হয়। ফলে সঠিক উদ্দেশ্য অর্জন ব্যাহত হয়। আবার প্রকল্প পরিচালনার ক্ষেত্রে কিসের জন্য বেশি অর্থ প্রয়োজন হয়, সে বিষয়েও কোনো জবাবদিহি থাকে না।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রতিবছরের সেচ মৌসুমে বৃষ্টিপাত কম হচ্ছে। আর তেমনি তাপমাত্রাও বেড়ে যাচ্ছে। ফলে কৃষিকাজে অতিমাত্রায় সেচ-নির্ভরতা বাড়ছে। এর সঙ্গে সেচের পানির অদক্ষ ব্যবহার এবং ভূ-উপরিস্থ পানি সংরক্ষণে জোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। এই পরিস্থিতি একটি সংকট তৈরি করছে। তাই উত্তরবঙ্গের পানিনির্ভর কৃষিকে এখন দক্ষিণবঙ্গে নেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
সেমিনারে অন্য বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে পরিবর্তিত পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো উপযোগী ফসলের জাত উদ্ভাবনের দিকে। এর পাশাপাশি কৃষক যাতে উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য পান তা নিশ্চিত করতে হবে। সেচের পানিপ্রাপ্তি এবং সুষ্ঠু সেচ ব্যবস্থাপনার দিকেও নজর দেওয়ার সুপারিশ করেন বক্তারা।
কৃপ্র/এম ইসলাম