কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ গাইবান্ধা জেলার সাত উপজেলায় চলতি মৌসুমে রোপা আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে। এতে বাম্পার ফলনের আশা করা হচ্ছে।
চলতি বছর কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ (ডিএই) জেলায় মোট ৮৪ হাজার ৩৭১ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষ ও ২ লাখ ২২ হাজার ৭৬৭ টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের ফলে এখানে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা পুরোপুরিভাবে অর্জিত হয়েছে। যদিও শুরুর দিকে খরা অবস্থার কারণে আমনের বীজতলা তৈরিতে ব্যাঘাত ঘটেছিল।
জেলার মোট লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে সদর উপজেলার প্রায় ১৩ হাজার ১শ’ হেক্টর জমিতে, সাদুল্লাপুরে ১০ হাজার ১শ’ হেক্টর, পলাশবাড়ীতে ৮ হাজার ৮শ’ হেক্টর, গোবিন্দগঞ্জে ২০ হাজার ৪শ’ হেক্টর, সুন্দরগঞ্জে ১৮ হাজার ৪শ’ হেক্টর, সাঘাটায় ৯ হাজার ৪শ’ হেক্টর ও ফুলছড়ি উপজেলায় ৪ হাজার ২৭১ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের চাষ করা হয়েছে।
পরে উপযোগী আবহাওয়ার কারণে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রোপা আমনের চাষ করা হয়। এতে কৃষি বিভাগের ধার্য্যকৃত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আরো ৩৯ হাজার ৭৩৪ হেক্টর বেশি জমিতে আবাদ হয়।
রোপা আমনের চারাগুলো ইতোমধ্যে বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ধান ক্ষেতের যেদিকেই তাকানো যায় দেখা যায় কেবল সবুজ আর সবুজ। কৃষকেরা এখন ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত। তারা বর্তমান মৌসুমে ভাল ফলন পাওয়ার আশায় রয়েছেন।
সূত্র জানায়, ধান চাষ কর্মসূচিকে সফল করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন তাদের অনুমোদিত ডিলারদের মাধ্যমে কৃষকদের মাঝে ন্যায্যমূল্যে উন্নতমানের বীজ বিতরণ করেছে।
রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের (রাকাব) ডিজিএম এম বেলাল হোসেন জানান, রাকাবসহ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকসমূজ রোপা আমন চাষে দরিদ্র ও প্রান্তিক চাষীদের সহায়তা করার জন্য তাদের মাঝে সহজশর্তে কৃষি ঋণ বিতরণ করেছে।
ডিএই সূত্র জানায়, কৃষি বিভাগ আধুনিক প্রযুক্তিতে ধান চাষাবাদ, শস্য ব্যবস্থাপনা ও উন্নত বীজ সংরক্ষণের লক্ষ্যে কৃষকদেরকে প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে।
নির্বাহী প্রকৌশলী এম কুদরাত-ই-ইলাহি জানান, রোপা আমন চাষ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে সেচ কাজের জন্য বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎচালিত ৪৫০টি গভীর নলকূপ সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
ডিএই’র উপ-পরিচালক এ কে এম রুহুল আমিন বাসস’কে জানান, চলতি আমন মৌসুমে জেলার তৃণমূল পর্যায়ে সরবরাহের জন্য সার, কীটনাশক ও অন্যান্য কৃষি উপকরণ নিশ্চিত করা হয়েছে।
সুত্রঃ সুত্রঃ বাসস/ কৃপ্র/ এম ইসলাম/