কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ কৃষি বিজ্ঞানীরা বছরে একই জমি থেকে চার ফসল পেতে খরা সহনশীল জাতের ধান চাষ আরো বাড়ানোর উপর গুরুত্বারোপ করেছেন। এক্ষেত্রে স্বল্প মেয়াদী আমন ধান, সরিষা, আলু, মুগডাল ও পারিজা ধান চাষ পদ্ধতি অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। খরাসহিঞ্চু ও স্বল্পমেয়াদী ব্রি ধান-৫৬ কাটা উপলক্ষে সোমবার বিকেলে নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলার মেলাবর গ্রামের কৃষক বিধু ভূষণের মাঠে আয়োজিত একটি কৃষক মাঠ দিবসে বক্তারা এসব কথা বলেন।
কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় বেসরকারি সংস্থা আরডিআরএস ২০১১ সাল থেকে এই নতুন ফসলি পদ্বতি কৃষকদের মাঝে জনপ্রিয় করে তুলেছেন। বারোভিটা ইউনিয়ন ফেডারেশন আরডিআরএস ও কৃষি কম্প্র-সারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় (ডিএই)।
ব্রি ধান-৫৬ কাটা উপলক্ষে এই মাঠ দিবসের আয়োজন করে। বারোভিটা ইউনিয়ন ফেডারেশনের চেয়ারম্যান অরবিন্দু রায়ের সভাপতিত্বে নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো. ইদ্রিস প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ব্রি ধান -৫৬ কাটার উদ্বোধন করেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এনামুল হক, আরডিআরএস বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়কারী আমিনুর রহমান, গবেষণা সহকারী মহিদুল ইসলাম ও কৃষি কর্মকর্তা শরিফা পাশা।
রাশেদুল আরেফিন বলেন, আমন মৌসুমে খরা সহিঞ্চু ও স্বল্প মেয়াদী ব্রিধান-৫৬ চাষ বাড়াতে নীলফামারী জেলার ৩০০ কৃষকের ৩০০ বিঘা জমিতে প্রদর্শনী প্লট স্থাপন করা হয়েছে।
তিনি ব্রি ধান-৫৬ চাষ পদ্ধতি ও সুবিধা সম্বন্ধে বলেন, ‘এই ধান খরা পরিস্থিতিতে ধান রোপণ থেকে পাকা পর্যন্ত ১০৫-১১০ দিন সময় লাগে।’ তিনি আরো বলেন, ‘এই জাতের ধান শুধু খরা সহিঞ্চু নয়, স্বল্প মেয়াদিও। ফলে লীন পিরিয়ডে কৃষকেরা সরিষা অথবা আলু ও অন্যান্য স্বল্প মেয়াদি শীতকালীন সবজি চাষ করার জন্য প্রচুর সময় পায়।
সুত্রঃ বাসস/ কৃপ্র/এম ইসলাম