কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ যমুনা নদীর পানি হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়ায় সিরাজগঞ্জ সদরের শিমলা এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্মিত ২ নং স্পার বাঁধের ধস দেখা দিয়েছে । গতকাল বুধবার রাতে আকষ্মিক ধসে প্রায় ১৭০ মিটার এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ধসের আতঙ্কে বাঁধের পাশে বসবাসকারী মানুষেরা ইতিমধ্যেই তাদের ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন আতংকের কিছু নেই, ধস রোধে বালির বস্তা সহ প্রয়োজনিয় ব্যাবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জেলা প্রশাসক বাঁধের পাশে বসবাসকারী মানুষের পূর্নবাসনের আস্বাস জানিয়েছেন।
সদর উপজেলার মটিয়াপুর, দুম্বারপাড়া, বাঘমোড় গ্রামগুলো অনেক আগেই নদী ভাঙ্গনের কবলে যমুনা বিলীন হয়ে গেছে। আর কোন রকমে শিমলা পাঁচঠাকুরি,বালিঘুগরী, ইটালী, বাহুকা টিকে থাকলেও এখন রয়েছে ভয়াবহ ভাঙ্গনের হুমকির মুখে। নদী ভাঙ্গনের কবল থেকে এ অঞ্চল রক্ষার জন্য ২০০০ সালে শিমলা ২ নং স্পার বাঁধটি নির্মান করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। কিন্তু আকষ্মিকভাবে নদীর পানি গত কয়েক দিন বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে গতকাল বুধবার রাত থেকে ধস শুরু হয়। তবে পানি বৃদ্ধি পেলেও তা বিপদ সীমার নিচে থাকায় আশেপাশের ঘরবাড়ির কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি । তবে ধসের পরিধি বারতে থাকলে শিমলা সহ আশেপাশের কয়েটি গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হবার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকালেই পানি উন্নয়ন বোর্ডের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ধসে পড়া স্থান পরিদর্শন করেছেন। এসমায় সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ হাসান ইমাম এলাকাবাসীকে আশ্বস্ত করে বলেন আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। ধসে পড়া অংশ বর্তমানে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ এবং সিসি ব্লক দিয়ে মুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। যমুনার পানি কমে গেলে ধসে পড়া স্থান দ্রুত মেরামত করে তা আগের মতো শক্ত কাঠমোতে ফিরিয়ে আনা হবে।
জেলা প্রশাসক কামরুন্নাহার সিদ্দিকা বলেন, এই ধসের কারণে কারো কোন ক্ষতি হলে তাদের জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে। পাশাপাশি এ অঞ্চলের ভাঙ্গন কবলিত মানুষদের পূর্নবাসনেও ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
সুত্রঃ কালের কণ্ঠ/ কৃপ্র/ এম ইসলাম