কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ খাদ্য শস্যের ভান্ডার হিসেবে খ্যাত উত্তর বঙ্গের পাবনা জেলায় এ বছর রোপা আমনের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। মাঠে আমন ধানের চেহারা,বাতাসে দোল খাওয়া ফসলের হাসিমুখ। জেলার ৯টি উপজেলায় দিগন্ত জুড়ে ফসলের মাঠে মাঠে সবুজের সমারোহ। কোথাও কোথাও চাষীরা স্বল্প মেয়াদী জাতের বিনা-৭ ও ব্রি-৫৬ জাতের ধান কর্তন শুরু করেছেন। উৎপাদন বৃদ্ধির নিমিত্তে কৃষি বিভাগের মাঠ কর্মকর্তাদের সার্বক্ষনিক তদারকি, কৃষকদের নিয়ে উঠান বৈঠক, দলীয় পরামর্শ সভা,ঘন ঘন মাঠ পরিদর্শন, রোগ বালাইসহ পোকামাকড় দমনের লাগসই প্রযুক্তি বিস্তার ইত্যাদি কর্মকান্ডে এবার মাঠের সামগ্রিক অবস্থা আশাব্যঞ্জক।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এ বছর পাবনা জেলায় রোপা আমন চাষের লক্ষ মাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ৫১,৩০৮ হেক্টরে জমি। কিন্তু অর্জিত হয়েছে ৫১,৬৯৪ হেক্টও জমি। সে হিসেবে আবাদের হার বেড়েছে ১০১%। গত বছর রোপা আমন উৎপাদন হয়েছে ২,৫০,৬৯১ মেট্টিক টন। এবছর গত বছরের উৎপাদনকে ছাড়িয়ে যাবে বলে আবাদকারী চাষিসহ কৃষি বিশেষজ্ঞদের ধারনা। জেলার উপজেলা সহ ইউনিয়ন পর্যায়ে চাষিদের দেখা গেছে তারা আমন ধানের ক্ষেতে পরিচর্যায় ব্যস্ত। আমন ধানের মাঠে পার্চিং দেখা গেছে প্রায় সর্বত্রই। ফলে মাঠে রোগ বালাই নেই বল্লেই চলে। কোথাও কোথাও ধানের মাজরা পোকা সহ বাদামি গাছ ফড়িং এর আক্রমন কদাচিৎ লক্ষ্য করা গেছে।
চাটমোহর উপজেলার কুয়াবাশি গ্রামের কৃষক হযরত আলী জানান, তার ২৫ বিঘা জমিতে রোপা আমন ধানের আবাদ হয়েছে। ফসলের অবস্থা খুবই ভাল, ফলন ভাল হবে বলে তার বিশ্বাস। চাটমোহরের চকমারম গ্রামের কৃষক রঞ্জু প্রামানিক ১২ বিঘায় রোপা আমন আবাদ করেছেন, ফসল ভাল হয়েছে এবং পোকা মাকড়ের কোন আক্রমন নাই বলে জানান। সাঁথিয়া উপজেলার নওয়ানী গ্রামের কৃষক আলহাজ্ব সিদ্দিকুর রহমান ১২ বিঘায় রোপা আবাদ করেছে, চমরপুরের শামসুল হক প্রা: প্রায় ২০ বিঘায় রোপা আমন এবং ৬ বিঘায় নেরিকা ধানের আবাদ করেছেন, তিনি জানান তার ক্ষেতের সব ধানই গত বছরের চেয়ে ভাল হয়েছে এবং কোন পোকা মাকড়ের আক্রমন নাই।
কৃপ্র/ এম ইসলাম