কোন ধরনের পরিচর্যা ছাড়াই বেড়ে ওঠা এ ফল দামে সস্তা, কেমিক্যাল মুক্ত, স্বাদ ও গন্ধে সুস্বাদু। এর ত্বক রেশমী লোমে আবৃত। বীজ আর ত্বক বাদে এর মাংস মাখনের মতো নরম অংশ ফল হিসেবে খাওয়া হয়। প্রায় সব ধরনের মাটিতে গাবের চাষ করা যায়। শীতের শেষে গাছে ফুল আসে এবং বর্ষার শেষ ভাগে ফল পাকে। গাবগাছ ৮-১০ বছর বয়স হলে স্বাভাবিক ফলন দিতে আরম্ভ করে। গাছের কাঠ শক্ত প্রকৃতির। কাঠ ঘর তৈরিসহ নানা কাজে লাগে। বিলাতি গাব একটি ঔষধি গুণেভরা পুষ্টিকর ফল। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ কার্বোহাইড্রেড, মিনারেল, ক্যালসিয়াম ও আয়রন, যা মানবদেহের জন্য খুবই উপকারী। এটি ফল হিসেবে খাবার পাশাপাশি এটা থেকে ডেজার্ট, ফ্রুটকেক, ক্রিম ইত্যাদিও তৈরি করা হয়।
গাইনী বিশেষজ্ঞ ডা. জিকে চক্রবর্তী জানান, যাদের শরীরে ক্যালশিয়ামের অভাব রয়েছে। তাদের জন্য বিলাতি গাব ওষুধের চেয়ে ভাল কাজ করে। এ ফলে ফরমালিন মিশানো হয় না। এ ফল গর্ভবতী মায়েদের জন্য খুবই উপকারী।
কৃপ্র / এম ইসলাম