কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ শরীয়তপুর জেলায় আমন ধানের ভাল ফলন পাওয়ায় হাসি ফুটেছে কৃষকদের মুখে। শরীয়তপুরে এবার লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৭শ’ ৮ হেক্টর বেশী জমিতে বোনা আমনের আবাদ হয়েছে। শরীয়তপুরের কৃষকরা এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে ধান কাটা, মাড়াই, ঝাড়াই ও শুকানোর কাজে। আবহাওয়া বোনা আমনের অনুকূলে থাকায় এবার ভাল ফলন পেয়েছে কৃষক। বিঘাপ্রতি ৭ থেকে সাড়ে ৭ মণ ফলন পাচ্ছেন কৃষক।
আবাদকৃত আমনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বিআর-২৬-২৭, ব্রিধান-৪৮, সামনা, কুটিআংটি, লক্ষীদীঘা, হিজলদীঘা, মানিকদীঘা, গাবুরা, ঝিঙ্গাসাইল, কার্তিকশাইল, লেহাগাছা, কাচকলা জাত। তবে সবচেয়ে ভাল ফলন হয় সামনা ও কুটিআংটি জাতের ধানের। দেশীয় জাতে বিঘাপ্রতি ৭-৮ মণ ফলন পেলেও উফশী জাতে বিঘাপ্রতি ৮-১০ মণ পর্যন্ত ফলন পাচ্ছেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর জেলায় বোনা আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৭ হাজার ৭শ’ ৫২ হেক্টর জমিতে। তবে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে আবাদ হয়েছে ৮ হাজার ৪শ’ ৬০ হেক্টরে। এর মধ্যে শরীয়তপুর সদর উপজেলায় ১ হাজার ৫০, নড়িয়ায় ১ হাজার ৫শ’ ৮০ হেক্টর, জাজিরায় ১ হাজার ৮শ’ ৫০ হেক্টর, ভেদরগঞ্জে ২ হাজার ৫৮ হেক্টর, ডামুড্যায় ১শ’ হেক্টর ও গোসাইরহাটে ১ হাজার ৮শ’ ২২ হেক্টর জমিতে বোনা আমনের আবাদ হয়েছে।
ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখীপুর ইউনিয়নের সখীপুর গ্রামের কৃষক ইমদাদুল হক সরকার বলেন, গত মৌসুমে স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শে বিআর-২৬ জাতের বোনা আমন আবাদ করে ভাল ফল পাওয়ায় এবার ৮ বিঘা জমিতে আবাদ করেছি। ফলন ভাল হয়েছে। আশা করছি বিঘাপ্রতি ৮-৯ মণ ফলন পাব। বিঘাপ্রতি আবাদে আমার প্রায় ৩ হাজার টাকা করে খরচ হয়েছে।
শরীয়তপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ- পরিচালক মো: কবির হোসেন বলেন, উন্নত জাতের বোনা আমন আবাদে আমরা মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের কারিগরি সহযোগিতাসহ উদ্বুদ্ধকরণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। কম খরচে ভাল ফলন পেয়ে লাভবান হওয়ায় ধীরে ধীরে বাড়ছে বোনা আমনের আবাদ। আমন কেটে কৃষক আবার একই জমিতে সরিষা আবাদ করে বোরোও আবাদ করতে পারছে। ফলে অনেক দুই ফসলী জমিই এখন তিন ফসলী জমিতে পরিণত হচ্ছে। কৃষকরাও অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছে।
সুত্রঃ বাসস / কৃপ্র/ এম ইসলাম