‘রংপুরে ১৯ লাখ ৭৬ হাজার টন আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ’
কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর (ডিএই) চলতি রবি মৌসুমে রংপুর কৃষি অঞ্চলে ৯৪,১৬৪ হেক্টর জমিতে ১৯ লাখ ৭৬ হাজার টন আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। ডিএই বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি), বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএআরআই)সহ অন্যান্য কৃষি সংশ্লিষ্ট বিভাগ আলু চাষ কর্মসূচি সফল করতে পর্যপ্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কৃষকরা ইতোমধ্যে আলু বীজ বপণ করতে শুরু করেছে। এই অঞ্চলের পাঁচ উপজেলায় ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে স্বল্পমেয়াদী রোপা আমন মাড়াই শেষে আলু চাষ পুরোদমে শুরু হবে।
ডিএই’র হর্টিকালচার বিশেষজ্ঞ খন্দকার মো. মেসবাউল ইসলাম বাসসকে বলেন, এই অঞ্চলের রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, নীলফামারী ও লালমনিরহাট জেলায় আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আগাম জাতের আলুর চারা বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হচ্ছে। রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক এস এম আশরাফ আলী বলেন, এই মাসের মধ্যেই এই অঞ্চলে রোপা আমন মাড়াই শেষে পুরোদমে আলু বীজ বপণ করা শুরু হবে।
তিনি আরো বলেন, আলু চাষ কর্মসূচি সফল করতে সংশ্লিষ্ট কৃষি বিভাগ, বীজ ডিলার ও বিভিন্ন এনজিও প্রতিষ্ঠান কৃষকদের মাঝে সারসহ উন্নতজাতের আলু বীজ ও অন্যান্য কৃষি উপকরণ সরবরাহ করছে। রংপুর সদর উপজেলার কাঠিহারা গ্রামের কৃষক ইছহাক আলী ও আইয়ুব আলী বলেন, তারা পরবর্তী মাসের শুরুতেই স্বল্পমেয়াদী আমন ধান মাড়াই শেষে আগাম জাতের আলু চাষ শুরু করবে।
গঙ্গাচড়া উপজেলার কৃষক আবদুল হক, লতিফুর রহমান ও কুদ্দুস মুন্সী বলেন, তারা আগাম জাতের আলু বীজ বপণ সম্পন্ন করেছে। জেলার নজিরদিগর গ্রামের কৃষক আরিফুল হক বাটুল, আবুল হোসেন ও জাহাঙ্গীর আলম বলেন, চলতি মৌসুমে আমন মাড়াই শেষে আলু চাষ শুরু করবেন। তারা গত বছর আলুর বাম্পার উৎপাদন পেয়েছেন ও প্রচুর লাভ করেছেন। কর্মসূচি সফল করতে কৃষি সংশ্লিষ্ট অধিদফতর ও সংগঠন কৃষকদের আলু চাষ প্রযুক্তির ব্যবহারসহ বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দিতে শুরু করেছে বলে জানান ডিএই’র অতিরিক্ত পরিচালক শাহ আলম।
সুত্রঃ বাসস / কৃপ্র/ এম ইসলাম