কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ পঞ্চগড় জেলায় কালের আবর্তে মহিষ নামের গৃহপালিত প্রাণী বিলুপ্ত হতে যাচ্ছে। আগের মতো আর এ জেলায় মহিষ পালন চোখে পড়ে না। জেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে অল্প কয়েকটি মহিষ এর সন্ধান পাওয়া গেছে। অথচ এ অঞ্চলে আগে প্রায় প্রত্যেকটি কৃষক পরিবার মহিষ পালন করতেন। এ মহিষ দিয়ে তারা কৃষি জমি চাষবাদসহ মালামাল পরিবহনে মহিষ দিয়ে গাড়ি চালাতেন। এখন এ এলাকায় আর মহিষের গাড়িও চোখে পড়ে না।
ডিজিটাল বাংলাদেশের কৃষিতে এসেছে নানান পরিবর্তন। এখন আর কৃষকরা মহিষ অথবা গরুর হাল দিয়ে চাষাবাদ করেন না। এ মহিষ পালন কমে যাওয়ায় এখন এর দাম অনেক বেড়ে গেছে। এখন একটি ছোট মহিষের দাম কম পক্ষে ৭০ হাজার টাকা । এখন আর আগে মতো এ জেলার হাট-বাজারগুলোতে মহিষ কেনাবেচা হয় না। মহিষের সংখ্যা কমে যাওয়ার এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
এখন মহিষ বিক্রি হয় প্রতি বছর কালী পূজায় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার দন্ডপাল ইউনিয়েনের কালীগঞ্জে কালী মেলা বসে। এ মেলায় মহিষ বিক্রি হতে দেখা যায়। অপরদিকে প্রতিবছর আটোয়ারী উপজেলার রাস পূণির্মাতে আলোয়াখোয়া মেলা বসে। মাসব্যাপী এ মেলায় মহিষ বেচাকেনা করতে দেখা যায়।
জানা গেছে, আগের মতো মেলায় বিক্রির জন্য মহিষ আসে না। যে অল্প সংখ্যক মহিষ মেলায় আসে তার দাম অনেক বেশি। মহিষ এর পালন কমে যাওয়ায় এ অঞ্চলের মানুষআগের মতো আর মহিষ এর মাংস খেতে পারে না। আগে মাইক দিয়ে, ঢোল বাজিয়ে হাট-বাজারগুলোতে প্রচার করে মহিষের মাংস বিক্রি করতো। বর্তমানে সে অবস্থা এখন নেই। এক সময় মহিষের মাংস এ অঞ্চলের মানুষের আমিষের চাহিদা পূরণ করতো। মহিষ পালন কমে যাওয়ায় এ অঞ্চলের মানুষ আমিষের চাহিদা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
দেবীগঞ্জ উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ সহিদুল ইসলাম জানান, এ উপজেলার মহিষ এর খামার গড়ে উঠেনি। যদি কেউ এ মহিষ পালনের পরামর্শ নিতে আসে তাহলেঅফিস থেকে তাদের সহযোগিতাদেয়া হবে। তিনি আরো জানান, এখন আর আগের মত ঘাস না থাকায় মহিষ পালনে কেউ এগিয়ে আসতে চায় না। যদি পর্যাপ্ত ঘাসের ব্যবস্থা করা যায় এবং সরকারি সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করা হয় তাহলে মহিষ পালন করা সম্ভব হবে তিনি মনে করেন।
সুত্রঃ বাসস / কৃপ্র/ এম ইসলাম