কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ বাংলাদেশের মৌসুমি ফুলের মধ্যে অসাধারণ রূপবৈচিত্র্য ও মনোরম ফুল ডালিয়া। পরিবার-Compositae, উদ্ভিদতাত্তি্ব্বক নাম- Dahlia Variabilis Roezl। সুইডেনের উদ্ভিদ বিজ্ঞানী গোস্তাব ডাল মেক্সিকোর বনাঞ্চলে সর্বপ্রথম ডালিয়া ফুলের সন্ধান পান। তাই তিনি নিজের নামের সাথে মিল রেখে এ ফুলের নাম রাখেন ডালিয়া। মন মাতানো বাহারি রঙ আকার-আকৃতি এ ফুলের কদর বাড়িয়ে দিয়েছে।
তাছাড়া প্রতিনিয়ত এ ফুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য পুষ্প বিজ্ঞানীরা গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন এবং বর্তমানে বিভিন্ন জাতের ও রঙের ডালিয়া ফুল আমাদের দেশে চাষ হচ্ছে। ডালিয়া ফুল গাছের উচ্চতা ২-৩ ফুট পর্যন্ত হয়, কা- ফাঁপা, গাছে শাখা-প্রশাখা বিদ্যমান, পাতা সবুজ বড়, কিনারা করাতের মতো খাঁজ কাটা থাকে, শিরা-উপশিরা স্পষ্ট। গাছের কা-ের অগ্রভাগ হতে প্রথমে ফুল ফোটা শুরু হয়ে নিচের শাখা-প্রশাখার ফুল পরবর্তীতে ফোটে।
গাছের কা- শাখা-প্রশাখা রসালো নরম। গাছে ফুটন্ত ফুল প্রায় ১০-১৫ দিন স্থায়ী থাকে তারপর পাঁপড়ি ঝরে পড়ে। আশি্বন মাস থেকে শুরু হয়ে অগ্রহায়ণ মাস পর্যন্ত সময়ে ডালিয়া ফুলের কন্দ চারা রোপণের উপযুক্ত সময়। টবে বা সরাসরি মাটিতে এ ফুল চাষ করা যায়। বর্ণবৈচিত্র্য রূপলাবণ্যে জনপ্রিয় ডালিয়া ফুল পুষ্পসজ্জা ও উৎসব অনুষ্ঠানে বিশেষভাবে সমাদৃত হওয়ার পাশাপাশি এ ফুল স্থান করে নিয়েছে বাসা-বাড়ি, অফিস, আদালত, পার্কসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বাগানে।
কৃপ্র/ এম ইসলাম