‘সুজানগরের শুঁটকি মাছের চাহিদা রয়েছে ভারতসহ বিভিন্ন দেশে। কিন্তু সরকারি সহযোগিতা না পাওয়ায় দেশের বাইরে রপ্তানি করা সম্ভব হচ্ছে না। তারা শুঁটকি ব্যবসাকে সমৃদ্ধ করতে সহজ শর্তে ঋণসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন’
কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ পাবনা জেলার সুজানগরের মত্স্যজীবীরা শুঁটকি মাছের ব্যবসার দিকে ঝুঁকছে। অল্প খরচে লাভ বেশি হওয়ায় মত্স্যজীবীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও শুঁটকি মাছের ব্যবসায় নেমেছেন। চার/পাঁচ বছর আগে উপজেলার কতিপয় মত্স্যজীবীরা শুঁটকি মাছের ব্যবসা করতো। তবে বর্তমানে শতাধিক মত্স্যজীবী এবং সাধারণ মানুষ এই ব্যবসায় নেমেছেন। বিশেষ করে শুঁটকির ভাণ্ডার হিসাবে খ্যাত নীলফামারীর সৈয়দপুরে সুজানগরের শুঁটকি মাছের ব্যাপক চাহিদা থাকায় পেশাদার মত্স্যজীবীরা ও সাধারণ মানুষ ওই ব্যবসায় ঝুঁকছে।
প্রত্যেক বছর শীতের মৌসুম শুরু হতেই উপজেলার শুঁটকি ব্যবসায়ীরা তাদের বাড়ির পাশে কেউ বা আবার বিলের পাড়ে বিশাল বাঁশের চাতাল তৈরি করে হাজার হাজার মণ শুঁটকি মাছ প্রস্তুত করেন। তারা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী গাজনার বিলসহ আশ-পাশের বিল থেকে পুঁটি, টেংরা, বান, টাকি এবং চাঁন্দা মাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির দেশি মাছ কিনে ওই সকল চাতালে শুকিয়ে শুঁটকি করেন।
উপজেলার মসজিদপাড়া গ্রামের শুঁটকি ব্যবসায়ী তাহাজ্জত আলী বিশ্বাস জানান, দেশের অন্যান্য স্থানের চেয়ে সৈয়দপুরের আড়তে সুজানগরের শুঁটকি মাছের চাহিদা বেশি। সে কারণে প্রত্যেক বছর কমপক্ষে ২০ হাজার মণ শুঁটকি মাছ সৈয়দপুরের শুঁটকির আড়তে বিক্রি করা হয়। ইতিমধ্যে ২ হাজার মণ বিক্রি করা হয়েছে। তবে এ বছর আড়তে শুঁটকির বাজার মন্দা হওয়ায় ব্যবসায়ীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন।
ব্যবসায়ীরা জানান, মাছ কেনা এবং শ্রমিকসহ এক মণ পুঁটি শুঁটকি প্রস্তুত করতে খরচ হয় চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা। অথচ বর্তমান বাজারে এক মণ পুঁটি শুঁটকি বিক্রি হচ্ছে পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা যা প্রায় প্রস্তুত খরচের সমান। ফলে ব্যবসায়ীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। তবে তারা আশা করছেন ভারতের বড় ব্যবসায়ীরা মাছ কেনা শুরু করলে দাম বাড়বে। এ সময় তারা লোকসান কাটিয়ে লাভের মুখ দেখতে পাবেন।
সুত্রঃ ইত্তেফাক/ কৃপ্র/ এম ইসলাম