কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ এবারের রবি মৌসুমে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ (ডিএই) রংপুরাঞ্চলের ৭ হাজার ৯৭৬ হেক্টর জমিতে ৯ হাজার ১৩ টন ডাল চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
ডিএই-র হার্টিকালচার বিশেষজ্ঞ খন্দকার মো. মেসবাউল ইসলাম বলেন, স্থানীয়ভাবে দেশের চাহিদা পূরণে চাষিরা পুরো উদ্যমে ডাল চাষে বীজ রোপন করছে। ইতিমধ্যেই চাষিরা লক্ষ্যমাত্রার ৫০ শতাংশের বেশি অর্থাৎ ৪ হাজার ২৫ হেক্টর জমিতে বীজ রোপন সম্পন্ন করেছে এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চারাগুলো বেড়ে উঠছে।
ডিএই, বাংলাদেশ এগ্রিকালচার রিসার্স কাউন্সিল, বাংলাদেশ এগ্রিকালচার রিসার্স ইনিস্টিটিউট, বিএডিসিসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও এনজিও ডাল চাষে চাষিদের লক্ষমাত্রা অর্জনে সহায়তা করছে। সরকার এ জন্য স্বল্প সুদে কৃষি ঋণ, আরো বেশি জমিতে ডাল চাষে চাষিদের উৎসাহিতকরণের মাধ্যমে ডালের উৎপাদন বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।
লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে রয়েছে ২ হাজার ২শ’ ৯৮ হেক্টও জমিতে ২৭শ’ টন মসূও, ৭০ হেক্টর জমিতে ৭৩ টন, ৪ হাজার ১শ’ ৪৭ হেক্টরে ৪ হাজার ৫শ’ ৭৯ টন মাসকালাই, ১শ’ ৬২ হেক্টও জমিতে ১শ’ ৮৭ টন মুগডাল, ১ হাজার ১শ’ ৪৮ হেক্টর জমিতে ১ হাজার ৩শ’ ৭ টন খেসারির ডাল, ৩৭ হেক্টর জমিতে ৪০ টন বরবটি এবং ১শ’ ১৪ হেক্টর জমিতে ১শ’ ২৭ টন অরহর।
ডিএই এর উপপরিচালক আশরাফ আলী বলেন, আধুনিক প্রযুক্তি, শস্যের যথার্থ বহুমুখীকরণ এবং জমির সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এই অঞ্চলে ডাল উৎপাদনের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।তিনি বলেন, ডিএই-র পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংক ডালের উৎপাদন বাড়াতে মানসম্পন্ন বীজ সরবরাহ, প্রশিক্ষণ, আধুনিক প্রযুক্তি, কৃষি ঋণসহ বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করছে। ডিএই-র আঞ্চলিক অতিরিক্ত পরিচালক শাহ আলম এবারের মৌসুমে ডালের বাম্পার ফলনের আশা প্রকাশ করে বলেন, চাষের পরিমান বৃদ্ধির মাধ্যমে ডালের ভালো ফলনে দেশে উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে।
সুত্রঃ বাসস / কৃপ্র/ এম ইসলাম