কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুরে আমন ধান কাটা ও মাড়াই শুরু করেছেন কৃষক। কৃষকদের প্রত্যাশা এবার সর্বোচ্চ ফলন ঘরে তুলবেন। এদিকে আমনের বাম্পার ফলন হলেও দেশীয় প্রজাতি ক্রমান্বয়ে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ায় অনুশোচনা করছেন তারা। রায়পুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে দেখা যায়, কৃষকরা ধান কাটা শুধু করেছে। কৃষক বধূরাও থেমে নেই। ধান কেটে বাড়ি আনা, ধান মাড়াই, শুকিয়ে ঘরে তোলা, এ কাজ করছেন কৃষকদের সঙ্গে কৃষাণী ও মেয়েরা।
কৃষকরা জানান, এবার আমন আবাদের শুরু থেকে যথা সময়ে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত এং রোগ বালাই কম হওয়ায় ভালো ফলন হয়েছে। রায়পুর উপজেলার চরবংশী ও উদ্মারা গ্রামের কৃষক ইসমাইল হোসেন ও সিরাজ মিয়া জানান, তারা বেশ কিছু জমিতে আমন ধান আবাদ করেছেন। ফলন ভাল হয়েছে। সর্বোচ্চ ফলন পাবেন বলে আশা করছেন তারা।
এদিকে হাইব্রিড ও ব্রি ধান চাষ বেড়ে যাওয়ায় ক্রমে বিলুপ্ত হচ্ছে দেশী নানা বাহারি নামে ধান। নতুন নতুন জাতের আমন ধানের ফলন বেশি হওয়ায় দেশীয় বৈচিত্র্যময় জাতগুলো ক্রমান্বয়ে বিলুপ্ত হচ্ছে। কৃষকরা জানান, ইতিমধ্যে স্থানীয় গিগজ, লোহাচুরা, কাজল শাইল, রাজা শাইল, কার্তিক শাইল, মধুমালতি, কুটিয়া মনি, ধলামোডা, বালাম, মইশা মিরা, পাটজাত, দেশীয় পাইজামের মতো কয়েকটি ভালো জাতের ধান বিলুপ্ত হতে চলছে।
অন্যদিকে, আমনে বাম্পার ফলন হলেও কাটার শ্রমিক এবং মাড়াই নিয়ে আশংকায় রয়েছে কৃষকরা। তারা জানান, দিন হাজিরায় যেসব শ্রমিক কাজ করতেন, এবার তারা ২৫০ টাকার নিচে কাজ করছেন না। কোনো কোনো স্থানে তিন বেলা খাওয়াসহ ৩০০ টাকা হাজিরা পাচ্ছেন।
লক্ষ্মীপুর জেলা কৃষি সম্প্রারণ কর্মকর্তা আবুল হোসেন জানান, চলতি মৌসুমে জেলায় ৭৩ হাজার ৩২৩ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও আবাদ হয়েছে ৭৮ হাজার ২৬০ হেক্টর জমিতে। এ বছর লক্ষ্মীপুরে ১ লাখ ৮৩ হাজার ১৬৫ মে. টন চাল উৎপাদন হবে বলে জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে।