কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ সবজি ভাণ্ডার নরসিংদী জেলার কৃষকরা এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে। মোজাইক ও ফাকরা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে জেলার বেলাব, শিবপুর, রায়পুরা উপজেলার প্রায় আড়াইহাজার হেক্টর জমির সিমগাছ হলুদ বর্ণ হয়ে ফলনহীন হয়ে পড়েছে। কিছু কিছু গাছে সিম হলেও তা আঁকাবাঁকা এবং পোকায় আক্রান্ত। এসব সিম বাজারে কেনাবেচা হয় না, ফলে এসব জমির সিম গাছ এখন জ্বালানি হিসেবে পরিণত হয়েছে।
কৃষক আবদুর রশিদ জানান, ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া সিম বাজারে বিক্রি হয় না। হলুদ বিবর্ণ ভাইরাসে আক্রান্ত গাছগুলো জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার ছাড়া আর কোন কাজে লাগে না। ভাইরাস দমনে কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে আসে না। কৃষকদের পরামর্শ দেয়ার কোন লোক নেই। কৃষক জাহের মিয়া জানান, এ ভাইরাস দমনে কোন ব্যবস্থা নেই। কীটনাশক ছিটিয়ে কোন ফল পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছে। একই গ্রামের হারুন মিয়া জানান, খেতে অনেক বিষ দিয়েছি। বিষে ধরে না। গাছগুলো কাটিয়া খালে ফেলে দিতে হবে। গরু-ছাগলকে এগুলো খাওয়ানো যাবে না।
নরসিংদী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ লতাফত হোসেন জানান, মোজাইক ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে শিবপুর, বেলাব ও রায়পুরা উপজেলার প্রায় আড়াই হাজার হেক্টর জমির সিম গাছ। বীজ বাহিত ভাইরাসে আক্রান্ত গাছগুলো সবুজ রংয়ের হয়ে পড়েছে। এসব সিম গাছে সবুজপাতা ফড়িং প্রথমে একটি পাতার রস খেয়ে অন্য একটি গাছে বসে এতে ওই গাছটি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। এভাবেই জমির অনান্য গাছে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। মাঠ পর্যায়ে কৃষি বিভাগের লোকজন কৃষকদের পরামর্শ দিতে ইউনিয়ন পরিষদে গেলে কৃষকরা মতবিনিময় সভায় যেতে অনাগ্রহ প্রকাশ করে। প্রতি বছর একই জমিতে সিম চাষ না করলে ভাইরাস আক্রান্ত থেকে কৃষকরা রেহাই পাবে।
সুত্রঃ জনকণ্ঠ / কৃপ্র/ এম ইসলাম