কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ বগুড়া জেলায় এ বছরও রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। হাট-বাজারে নতুন ধান উঠলেও বাজার চড়া। ধানের মূল্য ভালো পাওয়ায় কৃষকরা খুশি।
তবে কাটামাড়াই শেষ হলে দাম কমে সহনীয় পর্যায়ে আসবে বলে কৃষি বিভাগ আশা করছে। বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্র জানায়, জেলার ১২ উপজেলায় চলতি মৌসুমে ১ লাখ ৮৫ হাজার ৬৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল। চাষ হয়েছে ১ লাখ ৮৪ হাজার ৫০০ হেক্টর জমি। গত মধ্য জুলাই থেকে রোপন শুরু ও মধ্য অক্টোবর থেকে কাটামাড়াই শুরু হয়েছে।
জেলায় এবার চালের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধার্য হয়েছিল ৪ লাখ ৯৬ হাজার ৫২৭ মেট্রিক টন। গত বছর প্রতি হেক্টরে ৩.১০ মেট্রিক টন ধানের ফলন পাওয়া গেলেও এবার ৩.২৫ মেট্রিক টন মিলছে। তাই চাল উৎপাদন ৬ লাখ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যাবে। বৃহস্পতিবার বগুড়ার সর্ববৃহৎ ধানের মোকাম নন্দীগ্রামের রনবাঘা, কাহালু, দুপচাঁচিয়া ও আদমদীঘি উপজেলায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শ্রমিক মজুরি বেশি সত্ত্বেও রোপা আমন ধান কাটা অর্ধেকের বেশি হয়ে গেছে। হাট-বাজারে ধান বিক্রি হচ্ছে। বিভিন্ন জাতের ধান ৭৫০ টাকা থেকে ৯৫০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। গত বছর এ সময় রোপা আমন ধানের মূল্য ছিল ৬৫০ টাকা থেকে ৭৫০ টাকা মণ।
কাহালুর দূর্গাপুর গ্রামের কৃষক আহমেদ আলী, দুপচাঁচিয়ার জিয়ানগরের কৃষক মোফাজ্জল হোসেন, নন্দীগ্রামের রনবাঘার কৃষ সেকেন্দার আলী, বগুড়া সদরের শেখেরকোলা গ্রামের কৃষক ধলু মিয়া প্রমুখ জানান, তাদের অনেকের জমির ধান অর্ধেকের বেশি কাটা হয়ে গেছে। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে, সার, বীজ ও সেচের সংকট না থাকায় ধানের ফলন খুব ভালো হয়েছে। তারা জানান, হাট-বাজারে বিক্রি করে ভালো মূল্য পাওয়ায় তারা সন্তুষ্ট। তবে বাজার পড়ে গেলে কিছুটা লোকসান হবার সম্ভবনা রয়েছে।দুপচাঁচিয়া উপজেলার নওশীন রাইস মিলের মালিক আবু কালাম আজাদ জানান, বর্তমানে হাট-বাজারে রোপা আমন ধানের দাম চড়া যাচ্ছে। এ অবস্থায় মিল চালানো সম্ভব নয়।
বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক প্রতুল চন্দ্র সরকার যুগান্তরকে জানান, নতুন ধান বাজারে উঠলে দাম কিছুটা বেশি হয়। বর্তমানে বাজার দর বেশি বলা যাবে না। তবে ধান কাটা শেষ হলে আগামী সপ্তাহে বাজার দর কমে যাবে বলে তিনি আশা করছেন।
সুত্রঃ যুগান্তর / কৃপ্র/ এম ইসলাম