কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ চলতি রবি মৌসুমে রংপুর কৃষি অঞ্চলে ৩১ হাজার ৫ হেক্টর জমিতে গম আবাদ করে ১ লাখ টন গম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর (ডিএই)। ডিএই সূত্র জানায়, গত মৌসুমে রংপুর কৃষি অঞ্চলের পাঁচ জেলায় গমের সুপার বাম্পার উৎপাদন ও লাভজনক মূল্য পাওয়ায় কৃষকরা এবার আরো অধিক জমিতে গম চাষ করার জন্য উদ্বুদ্ধ হয়েছেন।
ডিএই’র হর্টিকালচার বিশেষজ্ঞ খোন্দকার মো. মেসবাহুল ইসলাম জানান, এই অঞ্চলে ইতোমধ্যে উৎসাহী কৃষকরা দুই হাজার ১৪৫ হেক্টর জমিতে গমের বীজ বপন করে ফেলেছেন। তারা আমন ফসল উঠার সঙ্গে সঙ্গেই গম চাষের প্রক্রিয়া শুরু করেন। গম আবাদের কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে কৃষ সম্প্রসারণ বিভাগ, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ও কৃষি সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। মেসবাহুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় বাজারে প্রচুর চাহিদা থাকায় ও উচ্চ মূল্যের কারণে লাভজনক হওয়ায় গম চাষে সহায়তার জন্য কৃষকদেরকে গুণগতমানের বীজ, আধুনিক প্রযুক্তি, সার ও অন্যান্য উপকরণ প্রদান করা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক ভুট্টা ও গম উন্নয়ন কেন্দ্র দিনাজপুরের কো-অর্ডিনেটর আনারুল হক ভূ-গর্ভস্থ পানি রক্ষা, আরো অধিক লাভবান হওয়া ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কম পানিতে সেচ প্রদানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, স্বল্প খরচে বাম্পার উৎপাদন পাওয়ায় কৃষকদের মাঝে ইতোমধ্যে গম চাষ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
ডিএই রংপুরের উপ-পরিচালক এস এম আশরাফ আলী জানান, কয়েক বছর ধরে চমৎকার উৎপাদন হওয়ায় কৃষকরা এখন উচ্চ ফলনশীল বারি গম-২৬, প্রদীপ, বিজয়, প্রতিভা, শতাব্দী, সৌরভ, গৌরব ও স্বর্ণা জাতের গমের আবাদ বেশি করছেন। ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের (দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকা) সাবেক কৃষি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. এম এ মজিদ বলেন, আগে দেরিতে জীব বপন ও নি¤œমানের স্থানীয় বীজ ব্যবহার করার কারণে গমের উৎপাদন কম হতো। ডিএই’র আঞ্চলিক অতিরিক্ত পরিচালক শাহ আলম তার সন্তুষ্টির কথা জানিয়ে বাসস’কে বলেন, বর্তমান মৌসুমে কৃষকরা গম চাষ বৃদ্ধি করেছেন এবং এতে বাম্পার উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে।
সুত্রঃ বাসস / কৃপ্র/ এম ইসলাম