কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ বাগেরহাট জেলার শরণখোলার বলেশ্বর গিলতে বসেছে পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের বিভিন্ন স্টেশনসহ বনসংলগ্ন এলাকার ঘর-বাড়ি। উপজেলার বগী এলাকায় প্রায় ৩’শ মিটার ওয়াপদা বেড়ি বাঁধ সিসি ব্লকসহ নদীতে দেবে গেছে। ধীরে ধীরে ছোট হয়ে আসছে উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের মানচিত্র।
জোয়ারের পানি ও জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষার জন্য সুন্দরবন সংলগ্ন সাউথখালী ইউনিয়নসহ এ অঞ্চলে ১৯৬১ সালে তত্কালীন সরকার সর্বপ্রথম বেড়ি বাঁধ নির্মাণ করে। কিন্তু হঠাত্ ১৯৮০ সালে বলেশ্বর নদীর ভাঙন শুরু হয়। ২০১১ সাল থেকে সুন্দরবনের ভিতর দিয়ে বিভিন্ন পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল শুরুর পর গত চার/পাঁচ বছরে সুন্দরবনের কয়েকটি ক্যাম্পসহ স্থানীয় বগী বন্দর, তেরাবেকা, শরণখোলা, সোনাতলা, পানিরঘাট ও ডালির ঘোপ এলাকায় ভাঙনের তীব্রতা দেখা দেয়। এ পর্যন্ত পাঁচবার বেড়ি বাঁধ বিলীন হয়ে বগী বন্দর, শরণখোলা বাজার, বিভিন্ন গ্রামের ৫ সহস্রাধিক বাড়িঘর, মসজিদ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ ফসলি জমি বলেশ্বর গিলে ফেলায় নিঃস্ব হয়ে শত শত পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন ৩৫/১ পোল্ডারের বেড়ি বাঁধের উভয় পাশে। কেউ কেউ ভিটেমাটি হারিয়ে হয়েছেন এলাকাছাড়া। এছাড়া সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের বগী স্টেশন অফিস ভাঙনের তীব্রতায় চারবার স্থানান্তর করতে হয়েছে।
সাউথখালী ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হোসেন বলেন, বর্ষা ও শুষ্ক উভয় মৌসুমে বলেশ্বর নদীর ভাঙন অব্যাহত থাকায় তার ইউনিয়নের মানচিত্র ধীরে ধীরে ছোট হয়ে আসছে। যে কারণে দিন দিন গৃহহীন পরিবারের সংখ্যা বাড়ছে। এদেরকে পুনর্বাসন করতে না পারলে বিশৃঙ্খলা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের বগী স্টেশন কর্মকর্তা মো. আ. হক বলেন, শীত মৌসুমে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় ভাঙন বর্ষা মৌসুমের চেয়েও তীব্র আকার ধারণ করেছে। ভাঙনের তীব্রতা এতই ব্যাপক যে কারণে তাদের অফিস কয়েক দফা সরাতে হয়েছে। বর্তমানের অফিসও হুমকিতে রয়েছে।
সুত্রঃ ইত্তেফাক / কৃপ্র/ এম ইসলাম