কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ ধনে হলো মসলা, আর ধনের গাছটি হলো সবজি। এই ছোট্ট গাছের পাতাগুলো স্বাদে যেমন গন্ধেও তেমনি। তাই খাবার ও আচারে ব্যবহার করা হয় ধনেপাতা। বারডেম জেনারেল হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ পুষ্টিবিদ শামছুন্নাহার নাহিদ বললেন, ‘ধনেপাতা ভিটামিন এ, সি এবং কে-এর ভালো উৎস। আছে অল্প পরিমাণে ভিটামিন বি-ও। খনিজের মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়াম। এ ছাড়া আছে আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, সোডিয়াম। যাদের রক্তে পটাশিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজের পরিমাণ বেশি, তারা ধনেপাতা ১০ থেকে ১৫ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে, পানিটা ফেলে দিয়ে খেতে পারেন।’ ব্রিটিশ নিউট্রিশন ফাউন্ডেশনের গবেষণায় দেখা গেছে, ধনেপাতা শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের মতো কাজ করে, রোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে, সেই সঙ্গে প্রতিকারেও। সালমোনেলার মতো ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করার অসাধারণ এক ক্ষমতা আছে ধনেপাতার। ধনেপাতার অন্য গুণগুলোও জেনে নেওয়া যাক এবার।
ভালো ঘুমে
বিভিন্ন ধরনের ফাইটোনিউট্রিয়েন্টসের অসাধারণ এক সমন্নয় থাকায় ধনেপাতা নার্ভকে শীতল রাখতে সক্ষম। তাই ঘুম হয় সহজে। যাঁদের নির্ঘুম রাত কাটে, তাঁরা খেতে পারেন ধনেপাতা।
ক্যানসার প্রতিরোধী
ধনেপাতায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে আছে বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন সিসহ প্রয়োজনীয় সব উপাদান, যা ক্যানসার কোষ প্রতিরোধে সক্ষম।
অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল গুণ
সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে ধনেপাতা। এই পাতায় আছে ছত্রাক, ব্যাকটেরিয়া ও ইস্ট প্রতিরোধী উপাদান।
রক্তের চিনি নিয়ন্ত্রণ
ধনেপতা খেলে রক্তের চিনি নিয়ন্ত্রণে থাকে। নিয়মিত খেলে ইনসুলিন নিঃসরণের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ফলে ডায়াবেটিস রোগীর রক্তের চিনির পরিমাণ কমে আসে।
হাড়ের স্বাস্থ্য
ধনেপাতায় আছে ক্যালসিয়াম। যা হাড়ের গঠন মজবুত করে।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ
এক গবেষণায় দেখা গেছে, ধনেপাতা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দিতে সক্ষম আর ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।
চোখের সুরক্ষায়
সবজিতে থাকা বিটা ক্যারোটিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চোখের জন্য খুব গুরত্বপূর্ণ, এটি চোখ ভালো রাখতে যেমন সাহায্য করে তেমনি চোখে ছানি পড়া প্রতিরোধ করে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ
ধনেপাতায় থাকা উপাদানাগুলো রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সক্ষম।
রক্তস্বল্পতা দূর করে
ধনেপাতায় আছে আয়রন। এই উপাদানটি রক্ত স্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে। তবে রান্না না করে ভর্তা কিংবা সালাদ খেলেই বেশি উপকার পাওয়া যাবে।
কৃপ্র/এম ইসলাম