কৃষি প্রতিক্ষণ রিপোর্টঃ সবুজ ঘাসের আইল মাড়িয়ে যেদিকে চোখে পড়ে দেখা মেলে বিভিন্ন শাক-সবজি। কোথাও খেত থেকে তোলা হচ্ছে সবজি, কোথাও কৃষক-কৃষাণী ব্যস্ত খেত পরিচর্যায়। প্রজাপতি, ফড়িং উড়ে উড়ে বসছে সবজির এক ফুল থেকে অন্য ফুলে। বাতাসে দোল খাচ্ছে সবজি লতা। মাচার উপর লাউ ফুল নিচে লাউ ঝুলে আছে। এমনি সবজির এক স্বর্গরাজ্য মানিকগঞ্জ। জেলার সিংগাইরের বকচর গ্রামবাসী সকাল হলেই চলে আসেন সবজি খেতে। সবারই আছে কম বেশি সবজি খেত। সবজি চাষ করেই জীবিকা নির্বাহ করেন তারা।
মানিকগঞ্জ জেলায় বছরের বারো বাসই এখানে সবজি উৎপাদন হয়। তবে শীত মৌসুমে অন্য সময়ের চেয়ে অধিক ফলন হয়। একটি জমিতে বছরে তিনটি ফসল ফলান তারা। পুরো উৎপাদনই হয় বাণিজ্যিকভাবে। ঢাকা শহরে যে সবজি পাওয়া যায় তার অধিকাংশই মানিকগঞ্জ থেকে নিয়ে যাওয়া হয়।
এখানে উৎপাদিত সবজির মধ্যে রয়েছে- লাউ, বেগুন, মিষ্টি কুমড়া, চাল কুমড়া, চিচিংগা, করলা, ঢেঁড়স, বরবটি, শসা, গাজর, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, আলু, ধনে পাতা, পেঁয়াজ, রসুন, মূলা, শিম, টমেটো, ঝিঙা, ধুন্দল, কুশি, লাল শাক, সবুজ শাক, ডাটা শাক, পালংশাক, পুঁইশাক, কাকরোল প্রভৃতি।
এখানে সবজির চাষে রয়েছে বিভিন্নতা। কোন সবজি মাচা করা, কোন সবজি বেড়া করা, আবার অনেক সবজি মাটিতেই। সম্পূর্ণ অর্গানিক উপায়ে চাষ করা হয় এখানে। জৈব বা কম্পোস্ট সার মূলত এখানে বেশি ব্যবহার করা হয়। চাষীদের উৎপাদন আরও ভালভাবে করার জন্য অনেক প্রতিষ্ঠান এগিয়ে এসেছে এখানে। প্রতিষ্ঠানগুলো কৃষকদের মাঝে উন্নত জাতের বীজ সরবরাহসহ সার, ওষুধ, কীটনাশক দিয়ে সহায়তা করছেন। পাশাপাশি কৃষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান ও অর্থ সহায়তা করছে। চেইন সুপারশপগুলো এখান থেকে তাঁদের সবজি সংগ্রহ করে থাকে। একেবারে সবজির উৎসে এসে এইসব প্রতিষ্ঠান শাক-সবজি গাড়ি ভরে নিয়ে যায় শহরে।
কৃপ্র/এম ইসলাম