বিজ্ঞানী ড. কে, এম, খালেকুজ্জামানঃ টমেটোর ঢলে পড়া রোগ রালসটোনিয়া সোলানেসিয়ারাম নামক ব্যাকটেরিয়ার আক্রমনে হয়ে থাকে।গাছের পরিত্যক্ত অংশ, মাটি ও বিকল্প পোষকে এ রোগের জীবানু বেঁচে থাকে। সেচের পানি ও মাঠে ব্যবহৃত কৃষি যন্ত্রপাতির মাধ্যমে এ রোগ ছড়ায়। উচ্চ তাপমাত্রা (২৮-৩২০ সে:) ও অধিক আর্দ্রতায় এ রোগ দ্রুত ছড়ায়।
রোগের লক্ষনঃ গাছ বৃদ্ধির যে কোন সময় এ রোগ হতে পারে এবং ব্যাপক ক্ষতি করে। আক্রান্ত গাছের পাতা ও ডাটা খুর দ্রুত ঢলে পড়ে এবং গাছ মরে যায়। গাছ মরার পূর্ব পর্যন্ত পাতায় কোন প্রকার দাগ পড়ে না। মাটির উপরে আক্রান্ত গাছের গোড়া থেকে সাদা রংগের শিকড় বের হয়। রোগের প্রারম্ভে কান্ডের নিম্নাংশ চিরলে উহার মজ্জার মধ্যে কালো রং-এর দাগ দেখা যায় এবং চাপ দিলে উহা হতে ধূসর বর্নের তরল আঠাল পদার্থ বের হয়ে আসে। এই তরল পদার্থে অসংখ্য ব্যাকটেরিয়া থাকে। তাছাড়া আক্রান্ত গাছের গোড়ার দিকের কান্ড কেটে পরিস্কার গ্লাসে পানিতে ডুবিয়ে রাখলে সাদা সুতার মত ব্যাকটেরিয়াল উজ বের হয়ে আসতে দেখা যায়।
প্রতিকার
১) রোগ প্রতিরোধী জাত চাষ করতে হবে।
২) বুনো বেগুন গাছের কান্ডের সাথে কাংখিত জাতের টমেটোর জোড় কলম করতে হবে।
৩) শস্য পর্যায়ে বাদাম, সরিষা, ভূট্টা ইত্যাদি ফসল চাষ করতে হবে।
৪) রোগাক্রান্ত গাছ দেখা মাত্র মাটি সহ তুলে ধ্বংস করতে হবে।
৫) টমেটোর জমি স্যাতস্যাতে রাখা যাবে না।
৬) হেক্টর প্রতি ২০ কেজি স্টেবল ব্লিচিং পাউডার শেষ চাষের সময় মাটিতে প্রয়োগ করতে হবে।
১) স্ট্রেপ্টোমাইসিন সালফেট (অক্সিটেট্রাসাইক্লিন) ২০ পিপিএম অথবা ক্রোসিন এজি ১০ এসপি ০.৫ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে ৪-৭ দিন পর পর স্প্রে করতে হবে।
বিজ্ঞানী ড. কে, এম, খালেকুজ্জামান, উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব) ,মসলা গবেষণা কেন্দ্র, বিএআরআই ,শিবগঞ্জ, বগুড়া।
কৃপ্র/এম ইসলাম