কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ চলনবিলের সিংড়া উপজেলার ডাহিয়া-সাতপুকুরিয়া এলাকায় বানার বাঁধ, সুঁতি জাল দিয়ে নির্বিচারে মাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির জলজ প্রাণি শিকার করা হচ্ছে। এতে চলনবিলের জীববৈচিত্র্য নষ্ট হচ্ছে। ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা মসজিদের নামে বিলের বিভিন্ন এলাকায় ইজারা দিয়ে এসব জলজ প্রাণি শিকারের ব্যবস্থা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরিবেশবিদরা বলছেন, এর ফলে মাছের স্বাভাবিক প্রজনন ব্যাহত হচ্ছে। পাশাপাশি চলনবিলের জীববৈচিত্র্য নষ্ট হচ্ছে। খবর যুগান্তর অনলাইনের।
নাটোরের সিংড়া উপজেলার সাতপুকুরিয়া-ডাহিয়া এলাকায় বানার বাঁধ দিয়ে ছোট-বড় সব ধরণের মাছসহ কাঁকড়া, শামুকসহ বিভিন্ন জলজ প্রাণি নিধন করা হচ্ছে। পাশাপাশি দুটি বাঁধে দুই কিলোমিটারের বেশি অংশ বাঁধ দিয়ে ঘেরা। এতে জলজ কীটপতঙ্গ পর্যন্ত আটকা পড়ছে। বাঁধের পাশে খোরা জাল পাতার কাজে ব্যস্ত ডাহিয়া গ্রামের উত্তম হালদার বলেন, ডাহিয়া জামে মসজিদ ও মন্দিরে টাকা দিয়ে তারা এই বানার বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসীরা জানান, স্থানীয় প্রভাবশালী ডাহিয়া গ্রামের তালম আলী ও নকুর নেতৃত্বে এই বানার বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার করা হচ্ছে। নির্বিচারে মাছ, জীববৈচিত্র্য নিধনের ফলে এই বিলের ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, চলনবিলে নির্বিচারে মাছ নিধন বংশ বৃদ্ধিতে বাঁধার সৃষ্টি করছে। আর একারণে দেশীয় প্রায় ৪০ প্রজাতির মাছ আজ বিলুপ্তির পথে।
সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদেকুর রহমান বলেন, ইতিমধ্যে উপজেলার নুরপুর, কালিনগর, কলমসহ বিল এলাকার সুঁতি জাল ও বাঁধ ধ্বংস করা হয়েছে। কয়েকজনকে সাজাও দেয়া হয়েছে। ডাহিয়া বিলে বানার বাঁধের বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কৃপ্র/ এম ইসলাম