কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ চট্টগ্রাম জেলার মীরসরাই উপজেলায় কচু আবাদ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন শত শত কৃষক। বেশি কচু আবাদ হয় বলে এ উপজেলার দুইটি গ্রামের নামই হয়েছে ‘কচুয়া’। শুধু কচুয়া নয় মীরসরাই উপজেলার প্রায় ১৫-১৬টি গ্রামে বাণিজ্যিকভিত্তিতে কচু চাষ হয়। এসব গ্রামের অধিবাসীদের অনেকে কচু আবাদ করে সংসার চালান।
কচুর মৌসুমে এলাকায় গিয়ে দেখা যায়Ñ ক্ষেত থেকে হাজার হাজার কচু তুলে নিচ্ছেন কৃষকরা। জমি থেকে বড় বড় কচুগুলো কেটে, উপরের কিছু পাতা ছেঁটে বিশালাকার কচু স্তূপাকারে চলে যাচ্ছে ৫০ থেকে ১০০টির আঁটিতে। সেখান থেকে অটোরিকশা বা ভ্যানে করে মহাসড়কের হাটে। সেখান থেকে চলে যায় পাইকারদের ট্রাকে চড়ে চট্টগ্রাম শহরসহ বিভিন্ন হাট-বাজারে।
মীরসরাইয়ের কচুর যথেষ্ট সুনাম আছে। তাই এখানকার কচু বাজারে বেশ সমাদৃত। মীরসরাই-মলিয়াইশ সড়কের পাশে নাজিরপাড়ায় পোদ্দার তালুক গ্রামের নুরুল করিম ৫০ শতক জমিতে কচুর চাষ করেছেন। তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, প্রতিটি কচু পাইকারি ২৫-৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কচু বিক্রি করে এ মৌসুমে প্রায় তিন লাখ টাকার মতো পাবো। এরমধ্যে সব খরচ বাদ দিয়ে প্রায় দেড় লাখ টাকা লাভ হবে।
এ বিষয়ে মীরসরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বুলবুল আহম্মদ জানান, ‘মীরসরাইয়ের অনেক এলাকা কচু চাষের যথেষ্ট উপযোগী। ইতিমধ্যে স্থানীয় পর্যায়ে দেশি কচুর পাশাপাশি আমরা লতিরাজ নামের একটি কচুর জাত কৃষকদের আবাদের পরামর্শ দিয়েছি। যার সুফল পেতে যাচ্ছে কৃষকরা।’
সুত্রঃ বাসস / কৃপ্র/এম ইসলাম