কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ নড়াইলে ধানের মূল্য ভাল পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। ধান কাটা, মাড়াই, পরিস্কারকরে ধান ঘরে তোলর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক-কৃষানীরা। ধানের মূল্য বেশি হওয়ায় কৃষকরা ধান আবাদে বেশি আগ্রহী হচ্ছে। এবছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে রোপা ধানের আবাদ করা হয়েছে। বেনাডোব গ্রামের কৃষক কানাই বিশ্বাস জানান, আমি ২ একর জমিতে রোপা আমনের চাষ করেছিলাম ভাল ফলন হয়েছে। বিজয়পুর গ্রামের সাধান বিশ্বাস জানান, বর্তমান সরকার কৃষক বান্ধব সরকার। কৃষকদের উন্নয়নের জন্য কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সঠিক নির্দেশনায় আজকের কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।
সীমানন্দপুর গ্রামের কৃষক ইশারত শেখ বলেন, বর্তমানে বাজারে ধানের মূল্য ৭ থেকে ৮শ’ টাকা পর্যন্তু বিক্রি হচ্ছে। এতে আমাদের লাভ হচ্ছে। সদর উপজেলার মাইজপাড়া হাটের ব্যবসায়ী মাহাবুবুর রহমান জানান, কৃষকদের কাছ থেকে আমরা প্রতিমণ ধান ৭ থেকে ৮ টাকায় ক্রয় করছি। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় হাইব্রিড ধান চাষ করা হয়েছে ১ হাজার ৪১২ হেক্টর হেক্টর জমিতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৪ হাজার ৬৬০ মেট্টিক টন, উফশী ধান ২২ হাজার ৩৪৩ হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৬০ হাজার ৭২৮ মেট্টিক টন এবং স্থানীয় জাতের ৬ হাজার ৩২২ হেক্টর জমিতে ধান চাষ করা হয়েছে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ হাজার ৫৫৭ মেট্টিক টন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শেখ আমিনুল হক বাসস’কে বলেন, জেলায় ৩০ হাজার ৭৭ মেট্টিক টন রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও আবাদ হয়েছে ৩৩ হাজার ৯৫ হেক্টর জমিতে। জেলায় রোপা আমনের চাষ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩১৮ হেক্টর জমিতে বেশি আবাদ হয়েছে। জেলায় হাইব্রিড একর প্রতি ৩ দশমিক ৩ মেট্টিক টন, উফশী ২ দশমিক ৭১৮ এবং স্থানীয় ১ দশমিক ৬৭ মেট্টিক টন। মোট ৭৫ হাজার ৯৪৫ মেট্টিকটন ধান উৎপাদন হবে বলে আশা করেন তিনি। ইতিমধ্যে ৫০ ভাগ ধান কর্তন করা হয়েছে বাকি ধান দ্রুতই কর্তন সম্পন্ন হবে। ধানের মূল্য ভাল পাওয়ায় কৃষকরা জেলায় দিন দিন ধান আবাদের দিকে ঝুঁকছেন বলেও জানান এই কৃষি কর্মকর্তা।
সুত্রঃ বাসস / কৃপ্র/ এম ইসলাম