কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ ঠাকুরগাঁও সদরের কিসমত কেশুরবাড়ি গ্রামে কান পাতলেই শোনা যায় তাঁতের খট খট শব্দ। বিভিন্ন বাড়িতে উঁকি দিলে দেখা যায়- আঙিনায় কারিগর নিপুণ হাতে বুনে চলেছেন কম্বল। এই তাঁতশিল্প এখানকার মানুষকে আর্থিক সচ্ছলতা দিয়েছিল। এখন সেই দিন অতীত। পুঁজির অভাবে তাঁতিরা এ ব্যবসায় আগের মতো আর বিনিয়োগ করতে পারছেন না। বেশির ভাগ তাঁতিই পুঁজি যোগাতে মহাজন ও দাদন ব্যবসায়ীদের সুদের জালে জড়িয়ে পড়েছেন। ফলে সুদ পরিশোধেই চলে যাচ্ছে তাঁতির পুঁজির বড় অংশ।
কিসমত কেশুরবাড়ি গ্রামের তাঁতিরা জানান, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এখানে শুরু হয় তাঁতযন্ত্রের মাধ্যমে কম্বল তৈরির কাজ। গ্রামে প্রায় ৫শ পরিবারের বসবাস। তাদের অধিকাংশই কম্বল বুননের কাজে জড়িত। তারা বলসুতা, পুরোনো সোয়েটারের উল দিয়ে কম্বল, গায়ের চাদর, মাফলারসহ আরো অনেক কিছু তৈরি করেন। খট খট শব্দে মুখর ঠাকুরগাঁওয়ের কেশুরবাড়ির তাঁত পল্লি। দিন-রাত শীতের কম্বল তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তাঁতি পরিবারের সদস্যরা।
কম্বল কিনতে ইতোমধ্যে গ্রামটিতে ভিড় জমাচ্ছেন পাইকাররা। তবে পুঁজির অভাবে চাহিদা মতো কম্বল তৈরি করতে পারছেন না বলে জানান তারা। তাঁতি ধনেশ দুঃখ নিয়ে বলেন, শীত আসলে কম্বল তৈরি ও বিক্রি করে সংসারের খরচ চালাই। কিন্তু গরমের সময় কম্বল তৈরি করার কাজ থাকে না। তখন শহরে গিয়ে রিকশা চালাতে হয় বা ইট ভাটায় কাজ করতে হয়। কম্বল বিক্রির টাকায় কিছুদিন ভালোভাবে চলা যায়। তারপরে আবার কষ্ট শুরু। সরকার যদি কোনো সহযোগিতা দিত তাহলে সারাবছর আমরা তাঁতের কাজ করতে পারতাম।
সুত্রঃ ইত্তেফাক / কৃপ্র/এম ইসলাম