মোরেলগঞ্জ পৌরসভার দুই নং ওয়ার্ডের হেলাল উজ্জামান ফকির বারইখালী ইউনিয়নের চৌধুরি কাছারিবাড়ি এলাকায় ২০১৪ সালে দুই একর এবং ২০১৫ সালে সাড়ে চার একর জমি লিজ নেয়। সেখানে বিভিন্ন প্রজাতির সবজি ও মাছ চাষের জন্য পুকুর ও সবজি চাষের জন্য শুরু করে ঝিদনি মত্স্য চাষ প্রকল্প-এক ও দুই নামে দুটি প্রকল্প। প্রকল্প দুটির জমির দুই পুকুর পাড়ের জমিতে পেঁপে, লাউ, মিষ্টি কুমড়া, সিম, বরবটি, বেগুন, শসা, খিড়াই, টমেটো, বাঙ্গি, মরিচ, ঢেঁড়স, পালংশাক, করলা, মালঞ্চ, লালশাক, ডাটাশাক, চাষ কলমিসহ নানা প্রজাতির সবজি চাষ করে। এসব চাষে মাটির উর্বরতার জন্য জৈব সার প্রয়োগ করে। তবে সে সবজিতে কীটনাশক কিংবা রাসায়নিক সার ব্যবহার করে না। যার কারণে পাইকারি, খুচরা গ্রাহক ও গ্রামের বিভিন্ন পরিবারের লোকজন তার প্রকল্পে এসে প্রয়োজনীয় জিনিস কেনেন। পার্শ্ববর্তী পুকুরে চাষ করা হয়েছে দেশি শিং মাছ দুই লাখ, এক লাখ ২০ হাজার মনোসেক্স তেলাপিয়াসহ মিশ্র কার্প জাতীয় মাছ।
সফল চাষি হেলাল জানায়, ইতোমধ্যে এ বছর পাঁচ টন তেলাপিয়া, দুই টন রুই, পাঁচশ কেজি পাঙ্গাস মাছ আট লাখ টাকা ও এক লাখ ৮০ হাজার টাকার সবজি বিক্রি করা হয়েছে। এখনো দুটি প্রকল্পে বিক্রির অপেক্ষায় ১৫ টন মাছ মজুদ আছে। ফাল্গুন মাসে এসব মাছ বিক্রি হবে।
হেলাল আরো জানায়, প্রতিবছর তার এ প্রকল্প থেকে খরচ বাদে পাঁচ-আট লাখ টাকা আয় করা সম্ভব। সরকারি বা বেসরকারি সংস্থার আর্থিক সহায়তা পেলে তার প্রকল্পের উন্নয়ন এবং নতুন প্রকল্প করে এলাকার দেশিও প্রজাতির মাছ ও শাক-সবজির চাহিদা পূরণ করে দেশের উন্নয়নে সে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।
সুত্রঃ ইত্তেফাক / কৃপ্র/এম ইসলাম