কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ আপাং একটি মহা মূল্যবান ভেষজ ঔষধিগাছ এর ফুল ৩০ সেমি পর্যন্ত লম্বা হয়। বৃতি পাতলা ঝিল্লীর ন্যায়, উপবৃতিগুলি কাঁটার মত দুইপাশে ডানাযুক্ত। ফুলগুলি ক্ষুদ্র ৩-৭ মিমি হয়ে থাকে। আপাং ছোট বিরুত জাতীয় উদ্ভিদ। জ্বর হলে আপাং গাছের মূল ছেঁচে রস করে দিনে দু’ বার খেলে জ্বর ভাল হয়। হাত,পা কেটে গেলে আপাং গাছের কচি পাতার রস দিলে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যায়।
ঔষধ হিসেবেও আপাং এর ব্যবহার অনেক প্রাচীন।শরীরের কোথাও কেটে রক্তক্ষরণ হলে সঙ্গে সঙ্গে আপাং পাতার রস আক্রান্ত স্থানে লাগালে রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়ে যাবে।আপাং ফুল বেটে দই ও চিনির সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করলেও অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ বন্ধ হবে। শরীর ব্যথা, বাতজ্বর, ফোঁড়া, চামড়া ফাটা, চামড়ার চুলকানি, ক্ষুধামান্দ্য, পেটের শূলবেদনায় আপাংগাছের পাতার রস খেলে উপকার পাওয়া যাবে।
দাঁতের ব্যথায় ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়। আপাংগাছের শুকনো গুঁড়া কুষ্ঠরোগ চিকিৎসায় ব্যবহার হয়। আপাংগাছের পাতা গনোরিয়া ও শ্বাসকষ্ট ভালো করে। পাতার রস পোকার কামড়ের প্রতিষেধক হিসেবে, শ্বাসকষ্ট, কান ও চোখের সমস্যায় ব্যবহৃত হয়। বীজের গুঁড়া মাখন ও দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে পিত্তে পাথর হয় না।
আপাংগাছ আধা ছেচে ৭ গ্রাম পরিমাণ নিয়ে এর সঙ্গে সমপরিমাণ কালমেঘ মিশিয়ে দুই কাপ পানিতে জ্বাল দিয়ে এক কাপ করতে হবে। এরপর ছেঁকে ওই পানি পান করলে শোথ (হাত-পা ফোলা রোগে উপকার পাওয়া যাবে। নিয়মিত এক সপ্তাহ দিনে দু-তিনবার পান করলে পুরোপুরি ভালো হয়ে যাবে।
খোসপাঁচড়া ও চুলকানিতে পুরো গাছ আধা ছেচা করে ৭ গ্রাম পরিমাণ নিয়ে সঙ্গে সমপরিমাণ চিরতা ও নিম ছাল মিশিয়ে দুই কাপ পানিতে জ্বাল দিয়ে এক কাপ করতে হবে। এরপর ওই পানি ছেঁকে নিয়ে নির্যাসটুকু সেবন করতে হবে। ২০ থেকে ২৫ দিন নিয়মিত দিনে ২ বার পান করতে হবে।
আপাংগাছের সম্পূর্ণ অংশ মিহি গুঁড়া করে ৫ থেকে ৭ গ্রাম এক গ্লাস ডাবের পানির সঙ্গে মিশিয়ে দিনে দু-তিনবার পান করলে মূত্র সংক্রমণ ভালো হবে। এ ক্ষেত্রে ৭ থেকে ১০ দিন নিয়মিত সেবন করতে হবে।
কৃপ্র/ এম ইসলাম