কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুরে প্রভাবশালী মহল ক্ষমতার দাপটে নদীর বুক ও তীর দখল করে অবৈধভাবে গড়ে তুলেছেন অর্ধশত ইটভাটা। আর পরিবেশ অধিদফতর ও প্রশাসনের কর্তাদের ম্যানেজ করেই এসব অবৈধ ইটভাটা গড়ে উঠেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে করে উপজেলা ঘেঁষা বংশাই নদী ও লৌহজং নদীর গতিপথে পরিবর্তন আসছে এবং নাব্যতা সঙ্কটের সৃষ্টি হচ্ছে। ভারসাম্য হারিয়ে এলাকার পরিবেশ হুমকির মুখে পড়ছে। আর সরকার প্রতি বছর বিপুল অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার এই দুই নদীর আশপাশের এলাকায় সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রভাবশালী মহল ভ্যেকু, ট্রাক ও ট্রলার দিয়ে মাটি ফেলে নদী দখল করে ইটভাটা স্থাপনের কাজ করছে। উপজেলার সহকারী কমিশনার(ভূমি) অফিস ও উপজেলা নির্বাহী অফিসের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নদীর আশপাশে গড়ে উঠেছে ৪০-৫০টি ইটভাটা। এসব ইটভাটার অধিকাংশের নেই কোনো সরকারি ও পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র। একদিকে সরকারি নদী দখল। অপর দিকে অবৈধ ইটভাটা করে প্রভাবশালী মহল বিপুল অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গেলে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখানো হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রটি জানিয়েছে।
কয়েক জন ইটভাটা মালিকের সঙ্গে কথা হলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘রাজনৈতিক নেতা, প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদফতরের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই এসব ইটভাটা গড়ে তোলা হয়েছে।’ মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাসুম আহমেদ বলেন, ‘নদ-নদী এদেশের জাতীয় সম্পদ। যারা সরকারি নদী ও তার আশপাশ দখল করে অবৈধভাবে ইটভাটা গড়ে তুলেছেন তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এরই মধ্যে বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ভাটা মালিকদের জরিমানা ও ইটভাটা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
সুত্র; ইত্তেফাক/ কৃপ্র/এম ইসলাম