কৃষি প্রতিক্ষণ নাটোরঃ শিম চাষে ভাগ্য ফিরছে নাটোর জেলার কৃষকদের। বিস্তীর্ণ ফসলের খেত যেন এক শিমের সমুদ্র। সবুজের উপর সাদা আর বেগুনি ফুলের সমোরাহ।এখানে শিমের রাজত্বে অন্য ফসলের খোঁজ মেলা ভার। কৃষকরা বিঘাপ্রতি খরচ বাদে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা লাভ তুলছনে বলে জানালেন। গত কয়েক বছরে শিম চাষ করে পাল্টে গেছে তাদের র্আথ-সামাজিক অবস্থা।
নাটোর জেলায় এবার ৪০ হাজার মেক্ট্রিক টন শিম উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবানা রয়েছে। ইতোমধ্যে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে প্রায় ৩০ হাজার মেক্ট্রিক টন শিম উৎপাদিত হয়েছে। এখানে উৎপাদিত শিম স্থানীয়ভাবে চাহিদা মিটিয়ে চলে যাচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। নাটোর কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে জেলায় ১ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে শিম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। সেখানে আবাদ হয়েছে ১ হাজার ৬৪৫ হেক্টর জমিতে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৭ হাজার মেট্রিক টন। এর মধ্যে বড়াইগ্রাম উপজেলায় সব্বোর্চ এক হাজার ২৪৮ হেক্টর, লালপুরে ১৪২ হেক্টর, সদরে ১২০ হেক্টর, নলডাঙ্গায় ৫৩ হেক্টর, গুর“দাসপুরে ৪০ হেক্টর, সিংড়ায় ২২ হেক্টর এবং বাগাতিপাড়ায় ২০ হেক্টর।
শিম উৎপাদন ও বিপণেন বিখ্যাত বড়াইগ্রাম উপজেলার শিম চাষিরা জানান, বিঘা প্রতি শিম উৎপাদনে খরচ হয়েছে গড়ে ৩০ হাজার টাকা। আগাম অথবা ভাল ফলন হলে উৎপাদিত শিম লক্ষাধিক টাকায় বিক্রি করা সম্ভব। এছাড়া ধানসহ অন্যান্য ফসলের তুলনায় শিম চাষ লাভজনক হওয়ায় এলাকায় শিম চাষের পরিধি অনেকাংশ বেড়েছে। বড়াইগ্রাম উপজলোর কয়েন গ্রামের কয়েকজন ক্যেকজ জানান, এক একর জমিতে বৈশাখ মাসে চারা রোপণ করে আষাঢ় মাস থেকে র্কাতিক মাস পর্যন্ত শিম উত্তোলন করে প্রায় দেড় লাখ টাকার শিম বিক্রি করেছেন।
শিম চাষকে ঘিরে এলাকায় গড়ে ওঠা আড়তগুলোতে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণ শিমের আমদানি করছে এ অঞ্চলরে কৃষকরা। আর পাইকারি ক্রেতারা এ আড়ত থেকে শিম কিনে প্রতিদিন পাঠাচ্ছেন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। এ চিত্র শুধুবড়াইগ্রামে নয়, পুরো জেলা জুড়েই। মূলাডুলি হাটের আড়তদাররা জানান, র্বতমানে শিম মণ প্রতি ১৫’শ থেকে ১৮’শটাকায় বিক্রি হচ্ছে। আড়তে শিমের আমদানি প্রচুর। প্রতিদিনএসব আড়ত থেকে সিম নিয়ে ট্রাক যাচ্ছে নাটোরের বাইরে।
কৃপ্র/এম ইসলাম