কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ গাইবান্ধা জেলায় পশুসম্পদ বিভাগের উদ্যোগে জেলায় চলতি বছর জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ১ লাখ ৮ হাজার ৫৫২টি গবাদিপশু ও পোল্ট্রির ৯ লাখ ১৩ হাজার ৪শ’ হাঁস-মুরগীকে টিকা প্রদান করা হয়েছে। পশু-পাখিদের বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করার জন্য সারা বছর জুড়েই এই কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে পশুসম্পদ বিভাগ।
পশুসম্পদ কর্মকর্তা জানান, শুধু তাই নয়, জেলার ৭ উপজেলার পশুসম্পদ কার্যালয়ে এই সময়ের মধ্যে ৫১ হাজার ৯১১টি গরু ও ছাগল এবং ৩ লাখ ৯১ হাজার ৪০৩টি মুরগী ও হাঁসকে অ্যানথ্রাক্স, ব্ল্যাক কোয়ার্টার, পিপিআর ও রানীক্ষেতসহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এ ছাড়াও পশুসম্পদ বিভাগ তার লক্ষ্য অর্জনের জন্য কৃষক পর্যায়ে গৃহপালিত পশু ও পোল্ট্রিতে হাঁস-মুরগীর উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য দৃষ্টান্তমূলক ভূমিকা রেখে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।
সূত্র জানায়, এই সময়ের মধ্যে কৃষকদের মাঝে একদিন বয়সী ৩ লাখ ৫২ হাজার ২৫৬টি মুরগীর ও ৭৫ হাজার ৪১৬টি হাঁসের বাচ্চা বিতরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি ২৩ হাজার ৫৫৫টি গাভীকে কৃত্রিম প্রজনন দেয়া হয়েছে।
সূত্র আরো জানায়, গত ৫ মাসে পশুসম্পদ কার্যালয়ের সরাসরি তত্ত্বাবধানে জেলায় ৯২টি পোল্ট্রি খামার, ৮০টি হাঁসের খামার, ৭৯টি গরুর খামার, ৬২টি ছাগলের খামার ও ৭৯টি ভেড়ার খামার স্থাপন করা হয়েছে।
জেলা পশুসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আবদুল লতিফ বলেন, এই বিভাগের কর্মকর্তারা মাঠ পর্যাযে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে ৩৯ বিঘার মতো জায়গায় চারাও রোপণ করা হয়েছে।
পুষ্টির চাহিদা ও কৃষকদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিবর্তনের লক্ষ্যে গৃহপালিত পশু ও পোল্ট্রির মুরগীর ব্যাপক উৎপাদনের জন্য পশুসম্পদ বিভাগের মনিটরিং ও তত্ত্বাবধান কর্মসূচি জোরদার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সুত্রঃ বাসস/ কৃপ্র/ এম ইসলাম