কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ টাঙ্গাইলের লৌহজং নদীর উপর নির্মিত বরাটি ব্রিজের দুই পাশে গাইড বাঁধ ভাঙনের ফলে হুমকির মুখে পাশের বরাটি বাজার ও কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও হাট বাজার ছাড়াও আশপাশের কয়েকটি গ্রামও হুমকির মুখে। গতকাল মঙ্গলবার বরাটি বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, ব্রিজের দুইপাশে গাইড বাঁধে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের উদ্যোগে ২০১৪ সালে লৌহজং নদীর উপর বরাটি বাজার সংলগ্ন প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যয়ে ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। ব্রিজ নির্মাণের পর নদী ভাঙন থেকে ব্রিজটিকে রক্ষার জন্য দুই পাশে গাইড বাঁধ নির্মাণ করা হয়।
গাইড বাঁধ নির্মাণে ঠিকাদারের অনিয়ম ও দুর্নীতির ফলে নির্মাণের পর থেকেই গাইডে ফাটল ও ভাঙন দেখা দেয়। চলতি বছর বৃষ্টি ও বন্যার পানিতে ব্রিজের দুই পাশে গাইড বাঁধে তীব্র ভাঙন দেখা দেয়। এতে গাইড বাঁধের দুই পাশে রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় চলাচলের ক্ষেত্রে এলাকাবাসীকে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বরাটি বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন, নদীর উপর নির্মিত ব্রিজের দুই পাশের গাইড বাঁধ রক্ষার জন্য প্রশাসনকে বার বার অনুরোধ করা হয়েছে; কিন্তু কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় হুমকির মুখে পড়েছে বরাটি হাট ও বাজার, বরাটি হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বরাটি নরদানা বাংলাদেশ উচ্চ বিদ্যালয়, বরাটি গ্রাম, নরদানা গ্রাম, উফুলকী গ্রাম, বাগজান গ্রামসহ আশপাশের ৮-১০টি গ্রাম। নদী ভাঙনের ফলে ইতিমধ্যে আশপাশের ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট বিলীন হয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুম আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বরাটি হাট-বাজার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো রক্ষার জন্য লৌহজং নদীর উপর নির্মিত বরাটি ব্রিজের দুই পাশের গাইড বাঁধ রক্ষা ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, গাইড বাঁধ ও ব্রিজের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একটি প্রকল্প তৈরি ও প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে দ্রুত সংস্কার করা হবে।
সুত্রঃ ইত্তেফাক / কৃপ্র/এম ইসলাম