কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ ‘আগামীর কৃষক, ই-কৃষক’ ক্যাম্পেইনের আওতায় দুই বছর ধরেই কৃষিপণ্যের বাজার দাম, উপকরণের দাম ও ফসলের পরিচর্যা বিষয়ে নানা সময়ে তথ্য ও সেবা নিচ্ছেন কৃষকরা। সঠিক মানের কৃষি উপকরণও কিনতে সক্ষম হচ্ছেন। ২০১১-১২ অর্থবছর কৃষিপণ্য, বিশেষ করে ধানের দাম যাচাইয়ে মাত্র ৬ শতাংশ কৃষক সেলফোনের সহায়তা নিতেন। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে দেশের প্রায় ১৩ শতাংশ কৃষক দাম যাচাইয়ে সেলফোন ব্যবহার করেছেন। এক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছেন রাজশাহী ও সিলেট বিভাগের কৃষকরা। আর ঢাকা বিভাগের কৃষকরা তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে রয়েছেন। আন্তর্জাতিক খাদ্যনীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (ইফরি) গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।
ইফরির গবেষণা বলছে, সেবাটি আরো এগিয়ে নিতে সামনের দিনে কৃষক ও কৃষিপণ্য ব্যবসায়ীরা কীভাবে সেলফোন এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে স্বল্প সময়ে, সঠিক ও কার্যকর কৃষি সম্প্রসারণ সেবা পেতে পারেন, সে বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। এজন্য দেশের প্রতিটি জেলার কৃষকের প্রয়োজনীয়তা ও চাহিদা অনুসারে সঠিক পরিকল্পনা এবং তার বাস্তবায়ন করতে হবে।
গবেষণার তথ্যমতে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে রাজশাহী বিভাগে ২৩ দশমিক ২ শতাংশ, সিলেট বিভাগে ১৭ দশমিক ৫, খুলনায় ১২, বরিশালে ৭, চট্টগ্রামে ১০ দশমিক ৯, রংপুরে ১০ দশমিক ৩ ও ঢাকা বিভাগে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ কৃষক সেলফোনের সহযোগিতা নেন। যদিও ২০১১-১২ অর্থবছরে পরিস্থিতি এতটা ভালো ছিল না। এ সময়ে রাজশাহী বিভাগে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ, সিলেট বিভাগে ৬, খুলনায় ২ দশমিক ২, বরিশালে ১২, চট্টগ্রামে ২, রংপুরে ১০ ও ঢাকা বিভাগে ৪ দশমিক ৪ শতাংশ কৃষক সেলফোনের সহযোগিতা নেন। এই সময়ে বরিশালের কৃষকরা সেলফোনের মাধ্যমে তথ্যসেবা নেয়া কমিয়েছেন।
এ বিষয়ে ইফরি বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. আখতার আহমেদ বলেন, কৃষকদের মধ্যে সেলফোন ব্যবহারের ব্যাপক প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে। এটির যথোপযুক্ত ব্যবহারের সুযোগ তৈরির মাধ্যমে কৃষকদের আরো সুফল দেয়া যেতে পারে। এজন্য সেলফোন সেবা ও সংশ্লিষ্ট অ্যাপস কৃষকবান্ধব করা উচিত।
কৃষকের দোরগোড়ায় সার, বীজ ও কীটনাশকের যথাযথ ব্যবহার-সংক্রান্ত নানা তথ্য পৌঁছে দিতে শীর্ষ সেলফোন অপারেটরদের রয়েছে সেবা । কৃষিবাজার নামে পণ্যের দামভিত্তিক ও কৃষি জিজ্ঞাসা নামে কৃষিতথ্য-বিষয়ক মূল্য সংযোজিত সেবা দিচ্ছে বাংলালিংক। এসএমএসভিত্তিক এম-ফার্মার ও কলসেন্টারভিত্তিক কৃষিবার্তা নামে কৃষিবিষয়ক দুটি মূল্য সংযোজিত সেবা চালু রয়েছে রবির।
কৃপ্র/ এম ইসলাম