কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলা বেতাগা গ্রামের তৃতীয় লিঙ্গ (হিজড়া) রিমা চৌধুরী। অস্বচ্ছল পরিবারে জন্ম নেয়ায় প্রতিনিয়ত নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে তাকে বড় হতে হয়েছে। তিনবেলা খাবার যোগাতে অন্যের দারস্থ হতে হয়েছে তাকে। ২০১০ সালে ইউনিয়ন পরিষদের পরামর্শে ও আর্থিক সহায়তায় দুটি ভেড়া কিনেন তিনি। সেই ভেড়া পালন করে আজ তিনি স্বাবলম্বী।
ইউনিয়ন পরিষদের পরামর্শে ও আর্থিক সহায়তায় ২০১০ সালে দুটি ভেড়া কিনেন রিমা চৌধুরী। এর পর ২০১৪ সালে ভেড়া পালনের ওপর প্রশিক্ষণ নেন। পরে উন্নত জাতের আরো দুটি ভেড়া কিনেন। প্রতি বছর একটি ভেড়া তিনবার করে তিন থেকে চারটি বাচ্চা জন্ম দেয়। বর্তমানে তার খামারে ২৫টি ভেড়া রয়েছে। ২০১৩ সালে ছয়টি ভেড়া বিক্রি ও ঋণ নিয়ে তিনি একটি গাভী ও ২০০টি কোয়েল পাখি কেনেন। বর্তমানে উন্নত জাতের বাছুরসহ গরু রয়েছে ছয়টি। একটি গাভী দুধ দিচ্ছে প্রতিদিন ১৯-২০লিটার। কয়েল পাখির সংখ্যা ৫০০, যা প্রতিদিন ৩৫০-৪০০টি ডিম দিচ্ছে। আর এগুলো পরিচর্যা করতে দুজন কর্মচারী রেখেছেন তিনি। প্রতি বছর তিনি দেড় থেকে দুই লাখ টাকা উপার্জন করেন।
রিমা চৌধুরী বলেন, ‘হিজড়াদের প্রতি সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির পরামর্শ দেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান স্বপন দাশ। তার পরামর্শ ও আর্থিক সহায়তায় ভেড়া পালনের মাধ্যমে এখন আমি সাবলম্বী। ফকিরহাটে সরকারি ভেড়া খামারের ব্যবস্থাপক ডাক্তার মো. মঞ্জুরুল হাসান বলেন, রিমা ভেড়া পালন করে স্বাবলম্বী হয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তাকে দেখে অন্যরা ভেড়া পালন করবেন বলে আশা করছি।
সুত্রঃ ইত্তেফাক / কৃপ্র/এম ইসলাম