কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ হাড়ভাঙা পরিশ্রমে এখন স্বাবলম্বী রংপুর অঞ্চলের কৃষকেরা। একসময় এই অঞ্চলে বছরে একবার ধান ফললেও এখন হচ্ছে তিনবার। তবে শঙ্কার কথা, দেশে উদ্ভাবিত পর্যাপ্ত আমন জাত থাকলেও, কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে বিদেশী জাতের ধানের ওপর।
কৃষিবিদদের মতে, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমন্বয় না থাকায় এই খাত চলে যাচ্ছে বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর কাছে। এ বছর রংপুর অঞ্চলে আমনের চাষ হয়েছে ৫ লাখ ২২ হাজার হেক্টর জমিতে। যার মধ্যে দেশে উদ্ভাবিত ব্রি জাত চাষ হয়েছে ২ লাখ ৯০ হাজার ৫শ হেক্টর জমিতে।
আর ভারতীয় স্বর্ণা এবং গুটি স্বর্ণা এই দুই জাতের ধান চাষ হয়েছে ২ লাখ ৭০ হাজার হেক্টর জমিতে। মোট আমনের ৪৮ শতাংশই বিদেশী জাত। অথচ দেশে ব্রি উদ্ভাবিত আমন জাতের সংখ্যা ১শর বেশি। রংপুর পালিচড়া এলাকার কৃষক শমসের আলী। দোকানে এসেছেন ধান বীজ কিনতে। তার পছন্দের তালিকায় বিদেশ থেকে আমদানী করা হাইব্রিড জাতের বীজ।
কৃষি আন্দোলনকারী ও কৃষিবিদদের মতে, সরকারি প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে সমন্বয় না থাকায় এখাত চলে যাচ্ছে বহুজাতীক কোম্পানীগুলোর কাছে। যদিও কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তরের দাবি, ধানের জাত নির্বাচনে মাঠ পর্যায়ে কাজ চলছে। কৃষি ব্যবস্থা আর ত্বরান্বিত ও আধুনিক করতে স্থানীয় অধিদপ্তরের সাথে কৃষকদের সমন্বয় বাড়ানোর পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
সুত্রঃ channel24bd.tv / কৃপ্র/এম ইসলাম