কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ বগুড়ার নাগর নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। সাত থেকে দশ জনের একটি বালু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট প্রতিদিন শতশত ট্রাক দিয়ে চালাচ্ছে এ অবৈধ ব্যবসা। এতে নদী পাড়ের জমির ভাঙ্গনে সর্বস্বান্ত হচ্ছে এলাকার মানুষ। আর চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়েছে রাস্তাঘাট। প্রশাসন বলছে, গত বছর অভিযান চালানো হয়েছিল। এবার এখনো খবর জানেন না।
গত কয়েক বছর থেকেই বগুড়ার দূপচাচিয়া ও কাহালু উপজেলার নাগর নদী থেকে অবৈধভাবে বালু ও মাটি উত্তোলন করছে এলাকার কিছু প্রভাবশালী বালু ব্যবসায়ী। শ্যালো চালিত মেশিন ও এক্সাভেটরের সাহায্যে মাটি কেটে প্রতিদিনই ট্রাকে ট্রাকে বালু ও মাটি উত্তোলন হচ্ছে এ নদী থেকে। এর ফলে নাগর নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও নদীর তীরে থাকা জমিগুলো নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে। প্রতিবাদ করেও ফল পাচ্ছেন না এলাকার মানুষ।
বালু ও মাটি উত্তোলনের কথা স্বীকার করে অবৈধ বালু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের এক সদস্য মোঃ শামীম হোসেন জানালেন, নদীর তীরে ফসল হচ্ছে না এমন জমি থেকে তারা বালু ও মাটি উত্তোলন করছেন। এবার এখনো বালু ও মাটি উত্তোলনের খবর তাদের জানা নেই। খবর পেলেই অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানালেন বগুড়া দূপচাচিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শাহেদ পারভেজ।
এলাকাবাসীর তথ্য মতে, বায়েজিদ, শামীম, হাসুমিয়াসহ ১০ জন অবৈধভাবে নদী থেকে মাটি ও বালু উত্তোলনের সাথে জড়িত। বালু উত্তোলনের ফলে ফকিরপাড়া ঘোনপাড়া পাঁচথিতা, বেলহালি চাকলা শ্বশান এলাকার কৃষকের প্রায় ২ হাজার একর জমি নাগর নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে।
সুত্রঃ সময় টিভি / কৃপ্র/ এম ইসলাম