কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ চলতি বছরে রাজশাহী জেলার দুর্গাপুর উপজেলায় মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। মরিচ চাষিরা শুরুর দিকে গাছের মোড়ক নিয়ে বিপাকে পড়লেও পরবর্তীতে আবহাওয়া ও চাষ কৌশলের কারনে এ বছর বাম্পার ফলন পেয়েছেন মরিচ চাষিরা। মরিচের ভাল দাম পাওয়ায় আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছে চাষিরা। বিগত কয়েক বছর মরিচ চাষ করে বদলে গেছে উপজেলার অনেক চাষিদের ভাগ্য। উপজেলার হাটকানপাড়া, আমগাছী, পানানগর,দেবীপুর, উজালখলসী, আলীপুর, জয়নগর, আলিয়াবাদ, বড়ইলসহ অনেক গ্রামে দিনদিন মরিচ চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে মরিচের চাষের শুরুতেই মোড়ক রোগের কারনে চাষিরা মরিচ চাষে আগ্রহী না হলেও বিগত কয়েক বছর থেকে বদলে গেছে বিভিন্ন এলাকার দৃশ্যপট।
সরজমিনে দেখা যায়, উচু ও ডাঙা জমিতে মরিচের খেত। মরিচ খেতের পরিচর্যা ও গাছ থেকে মরিচ তোলায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন নারী-পুরষ ও দিন মজুররা। তবে অনেক এলাকার চাষিরা শেষ সময়ে মরিচের গাছে মোড়ক লাগায় চাষিরা তা ভেঙে দিয়ে অন্য ফসলের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
দুর্গাপুর এলাকার কৃষক আঃ রহমান জানান, তিনি এবার ২বিঘার কিছু বেশি জমিতে মরিচ চাষ করেছেন। এই পর্যন্ত ৩০ মণ মরিচ বাজারে বিক্রি করেছেন। যা থেকে তিনি ৭০ হাজার টাকা পেয়েছেন। যেখানে মরিচ চাষে খরচ হয়েছে প্রায় ১৫ থেকে ১৮ হাজার টাকা প্রায়। বর্তমান বাজার মরিচের দাম একটু কম। উপজেলার উজালখলসী গ্রামের সামাদ আলী জানান, তিনি দেড় বিঘা জমি থেকে এখন পর্যন্ত ১৮ হাজার টাকার মরিচ বিক্রি করেছেন। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে বাজারে মরিচ প্রতি মণ ৪ হাজার টাকা দরে বিক্রি করছেন।গগণবাড়িয়া গ্রামের চাষি আব্দুল হক জানান, ঢাকার পাইকাররা এখান থেকে মরিচ কিনে নিয়ে যান। কাজেই বাজারজাত করার কোনো সমস্যা নেই।
দুর্গাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বিমল কুমার প্রামানিক বলেন, ১শ’ হেক্টর জমিতে এবার মরিচ চাষ হয়েছে। অল্প জমিতে পরিচর্যা করে মরিচ ক্ষেত থেকে অধিক লাভ করা যায় বলে অনেকেই ঝুঁকে পড়ছেন মরিচ চাষে।
কৃপ্র/ এম ইসলাম