কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ রাজশাহীতে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে অপ্রচলিত শীতকালীন সবজি ব্রোকলি চাষ। লাভজনক বাজারদর ও ক্রেতা চাহিদার কারণে এই অঞ্চলের কৃষকরা ঝুঁকছেন ব্রোকলি চাষে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) উপ-পরিচালক দেব দুলাল ঢালী বলেন, ক্রেতার চাহিদা ও বাজার মূল্যের কারণে গত কয়েক বছর ধরে কৃষকগণ ব্রোকলি চাষে উৎসাহিত হচ্ছেন। তিনি দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বাণিজ্যিকভাবে ব্রোকলি চাষের উজ্জল সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, স্থানীয়ভাবে সবুজ ফুলকপি নামে পরিচিত ব্রোকলি চাষের উপযোগী এই অঞ্চল। ফুলকপির মত সবুজ পাতা সমৃদ্ধ ব্রোকলি থেকে সরাসরি প্রোটিন ও ভিটামিন সি পাওয়া যায়। ব্রোকলি ফুলকপির থেকে তিন থেকে চারগুণ বেশী দামে বিক্রি হয়। ব্রোকলি ক্রমাম্বয়ে শহুরে মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। গ্রান্ড হোটেলসহ বিভিন্ন চীনা রেস্টুরেন্টে খাদ্যের চাহিদা সৃষ্টি করতে স্যুপসহ অন্যান্য সুস্বাদু খাবারে ব্রোকলি ব্যবহার করা হচ্ছে।
বরেন্দ্র বগুমূখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রকল্প পরিচালক (কৃষি) এটিএম রফিকুল ইসলাম বলেন, এই ফসল গ্রামাঞ্চলের কৃষক ও ভোক্তাদের কাছে অপরিচিত ছিল।তিনি বলেন, উৎপাদক পর্যায়ে ব্রোকলি চাষ জনপ্রিয় করে তুলতে কৃষি বিভাগসহ বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ডিএই এই ফসলের প্রজেকশন প্লট বাড়ানোর মাধ্যমে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন বৃদ্ধি করতে কৃষকদের এগিয়ে আসার জন্য অনুপ্রাণিত করছে।
তিনি বলেন, সবজি চাষের মত স্বাভাবিক কৃষি জমিতে ও বৈরি আবহাওয়াতে ব্রোকলি সহজেই চাষ করা যায়। ফুলকপি ও বাঁধাকপিসহ অন্যান্য সবজির চেয়ে অধিক পুষ্টিগুণ সম্পূর্ণ এই ফসল। রফিকুল ইসলাম কৃষকদের অনুপ্রাণিত করতে প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা প্রদানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ব্রোকলি চাষ পদ্ধতি ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষের অনুরুপ। প্রতি হেক্টর জমি থেকে ৬৫-৭০ দিনের মধ্যে ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার ব্রোকলি গাছ উৎপাদিত হতে পারে।
সুত্রঃ বাসস / কৃপ্র/ এম ইসলাম