কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ গোপালগঞ্জের বর্ণী বাঁওড়ের রূপালী চরে বিষমুক্ত সবুজ লাউয়ের সমারহ হয়েছে। ওই বাঁওড়ের নকড়িরচরের ১ হাজার কৃষক উত্তম কৃষি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তার জন্য পরিবেশ বান্ধব ফসল উৎপাদন কর্মসূচির আওতায় লাউ আবাদ করে সাফল্য পেয়েছেন। চরের প্রতিটি মাচায় দুলছে লাউ। কৃষক এখান থেকে প্রতিদিন লাউ বাজারজাত করে কাচা পয়সা ঘরে তুলছেন। অর্গানিক পদ্ধতিতে উৎপাদিত এ লাউ খেতে সুস্বাদু। বেশি দাম দিয়ে ক্রেতারা চরের লাউ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। তাই কৃষক বাড়তি আয়ের সুযোগ পাচ্ছেন।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে, এ বছর ওই চরের ৬ হেক্টর জমিতে বিষমুক্ত নিরাপদ লাউয়ের আবাদ করেছেন সহস্রাধিক কৃষক। প্রতি হেক্টরে খরচ বাদে কৃষক অন্তত ৪ লাখ টাকা লাভ পাবেন বলে কৃষি অফিস জানিয়েছে। নকড়িরচর গ্রামের কৃষক মো. বোরহান মল্লিক, মো. জাকির সরদার ও বাচ্চু সিকদার বলেন, ‘বর্ষা মৌসুমে আমরা কৃষি বিভাগ ও পিরোজপুর- গোপালগঞ্জ-বাগেরহাট সমন্বিত কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের পরামর্শে কচুরিপানার বেডে ভাসমান সবজি চাষ করি। বর্ষার পানি নেমে যাওয়ার পর ওই বেড মাটিতে মিশিয়ে দিয়ে লাউয়ের আবাদ করেছি। লাউয়ের ফলন ভাল। তাই বেশি লাভ হচ্ছে।’
ওই ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা প্রদীপ হালদার বলেন, ‘নকড়িরচর গ্রাম পারকুশলী ব্লকের অন্তর্ভুক্ত। এ ব্লকে বিষমুক্ত সবজির আবাদ প্রতি বছরই বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের পরামর্শে কৃষক নিরাপদ সবজি উৎপাদন করে আর্থসামাজিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটাচ্ছেন।’
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মিজানু রহমান বলেন, ‘সবজিতে মনব দেহের ক্ষতিকর বিষের ব্যবহার শূন্যে নামিয়ে আনতে কৃষকের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। অধুনিক কৃষি প্রযুক্তি গ্রহণ করে চরের কৃষক বিষমুক্ত নিরাপদ সবজি উৎপাদন করছেন। এতে কীট নাশকের খরচ বেঁচে যাচ্ছে। ফসলের উৎপাদন খরচ কমছে। তাদের আয় বাড়ছে। এ কারণে লাভ জনক নিরাপদ সবজি চাষে কৃষক আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
সুত্রঃ ইত্তেফাক/ কৃপ্র/এম ইসলাম