কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্রের বুকে ছোট-বড় অসংখ্য চর জেগে ওঠায় নৌ যোগাযোগ বিপন্ন হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন শাখা নদীর মাধ্যমে ঘুর পথে কোনো কোনো রুটে নৌকা চলাচল করলেও সব এলাকায় চলাচল করা যাচ্ছে না। অনেক নৌ রুট ইতিমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। ব্রহ্মপুত্রের বুকজুড়ে এখন ধু ধু বালু চর। ফলে চর এলাকার মানুষের চলাচল এখন হাঁটা পথে। এ জন্য তাদের দুর্ভোগের শেষ নেই।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, সাধারণত নভেম্বর মাস থেকে নদীতে পানি কমতে শুরু করে। কিন্তু এবার কম বৃষ্টিপাতের কারণে অক্টোবরের শেষ দিক থেকেই নদীর পানি কমতে থাকে। আগামী এপ্রিল পর্যন্ত নদীর পানি কমার কথা। তখন অধিকাংশ নদী পানিশূন্য হয়ে পড়ে। এবারের প্রেক্ষাপট যেন কিছুটা ভিন্নতর। এখনই গাইবান্ধার অধিকাংশ নদী প্রায় পানিশূন্য হয়ে পড়েছে। অব্যাহত পানি কমতে থাকায় ইতিমধ্যে তিস্তা-ব্রহ্মপুত্র এবং যমুনার বুকে অসংখ্য চর জেগে ওঠায় এ তিনটি নদী যেন তার অস্তিত্ব হারাতে বসেছে।
বালাসী নৌ-ঘাট এখন তীর থেকে প্রায় দেড় কিমি. ভেতরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে হেঁটে যাত্রীরা সেখানে গিয়ে নৌকায় উঠছে। তারপরও ওই সব রুটে মাঝ পথে ডুবোচরের কারণে নৌকা আটকে যায় নাব্য সংকটের কারণে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাইবান্ধার নির্বাহী প্রকৌশলী প্রকাশ কৃষ্ণ সরকার জানান, ব্রহ্মপুত্রের বুকে অসংখ্য ছোট-বড় চর জেগে উঠেছে। নদীর বিভিন্ন স্থানে শাখা-প্রশাখার মাধ্যমে এখন সীমিত ধারায় পানি চলাচল করছে। আগামী এপ্রিল পর্যন্ত নদীর পানি হ্রাস পাওয়া অব্যাহত থাকবে।
সুত্রঃ যুগান্তর/ কৃপ্র/এম ইসলাম