কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ নতুন করে দূষণের শিকার হচ্ছে ধলেশ্বরী। নদী তীরেই গড়ে ওঠা চামড়া শিল্পনগরীর বর্জ্যে ক্রমেই বিষাক্ত হয়ে উঠছে নদীর পানি। যার ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে আশপাশের জনজীবনে। প্রকল্পের পরিচালক বলছেন পরিক্ষামূলকভাবে কিছুদিন আগে প্রকল্পের বর্জ্য পরিশোধনাগার থেকে কেমিক্যাল মিশ্রিত পানি ফেলা হয়েছে নদীতে।
আব্দুল মালেক বয়স ৭০ এর কাছাকাছি। থাকেন ধলেশ্বরীর তীরে। দেখেছেন এই নদীর বিভিন্ন রূপ। রুই, কাতল, চিতল, বোয়াল সব মাছ ধরা পড়ত এই নদীতে। তবে এখন সেই চিত্র খুব দ্রুতই হয়তো ইতিহাসে রূপ নিবে। গেল কয়েক মাস ধরে এই নদীতে নেই মাছ। আর পানির রংও ধরছে কালচে বর্ণ। কারণ তীরেই গড়ে উঠেছে চামড়া শিল্প নগরী। ট্যানারির বিষাক্ত বর্জ্যের পরীক্ষামূলক পরিশোধনের পর তা ফেলা হয়েছে নদীর জলে।
শিল্প নগরীর শেষ প্রান্তে খোলা আকাশের নিচে স্তূপ আকারে ফেলা হচ্ছে চামড়ার ছেড়া অংশ আর জিলেটিং। দুর্গন্ধ ছাড়াও ভয়ঙ্কর পরিবেশ দূষণ করছে এই বিষাক্ত কেমিক্যাল মিশ্রিত চামড়ার অংশ।ফলে আশপাশের বাসিন্দাদের পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। কিছুদিন আগে পরিশোধনাগার থেকে নদীতে বর্জ্য ফেলার কথা স্বীকার করলেও প্রকল্পের এই পরিচালক বলছেন এর ফলে নদীতে কোন দূষণ হয়নি। তিনি বলেন, ‘দেড় মাস আগে তারা একটা প্রয়োগ চালিয়েছিলো। কোন মাছ মারা যায়নি। এটা একটা মিথ্যা কথা।’
বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যার পরে এবার ধলেশ্বরী। পরিবেশ দূষণের মারাত্মক শিকার হতে যাচ্ছে আরেকটি নদী। সাভারের চামড়া শিল্প নগরীর বর্জ্যের সঠিক ব্যবস্থাপনা না করলে অন্য দু’টি নদীর মতো ঢাকার আশপাশের এই নদীটিকেও পড়তে হবে চরম বিপর্যয়ে।
সুত্রঃ সময় নিউজ / কৃপ্র/এম ইসলাম