কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ লক্ষ্মীপুর জেলায় শিমের বাম্পার ফলন হয়েছে। দামও ভাল, এতে খুশি চাষিরা। গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর জেলায় সবচেয়ে বেশী শিম উৎপাদন হয়েছে। এবার উৎপাদিত শিমের দাম প্রায় আড়াই কোটি টাকা হবে বলে ধারনা করছেন স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তারা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর তথ্য মতে, চলতি শীত মৌসুমে জেলায় ৭শ ৯৬ হেক্টর জমিতে শিম চাষাবাদ হয়েছে।
এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৩৫০ হেক্টর, রায়পুরে ৫৫, রামগঞ্জে ৫৫ হেক্টর, রামগতি ২৫০হেক্টর ও কমলনগরে ৮৬ হেক্টর। যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ৩শ হেক্টর বেশি। প্রতি হেক্টর জমিতে ১০টন শিম উৎপাদন হয়েছে। প্রতি মণ শিম বর্তমানে ১২শ’ টাকা দরে পাইকারী বিক্রি হচ্ছে। সে অনুপাতে উৎপাদিত শিমের দাম প্রাই আড়াই কোটি টাকা।
সদর উপজেলার লাহারকান্দি, তালহাটি, ভবানীগঞ্জ, চরমনসা, চরউভূতি, কালির চর, পিয়ারাপুর, টুমচর,দালাল বাজার এলাকায় বিভিন্ন মাঠে শিম গাছ ফুলে-ফলে ভরে উঠেছে। চলছে শিম তোলা ও গাছের পরিচর্যা। এছাড়াও জেলার বিভিন্নস্থানে বাড়ির আঙ্গিনায় ও গ্রামের রাস্তার দু’পাশে বীজ বপন করে শিম উৎপাদন করছে। এখানে উৎপাদিত শিম নিজ জেলা ছাড়াও আশপাশের জেলাগুলো কিনে নিচ্ছে পাইকাররা।
সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নের তালহাটি গ্রামের শিম চাষি মো. হুমায়ুন জানান, স্থানীয় একটি সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে তিনি ৪৮ শতাংশ জমিতে দেশী জাতের শিম চাষ শুরু করেছেন। শিম চাষাবাদে তার ব্যয় হয়েছে ২০ হাজার টাকা। উৎপাদিত শিমে ৬০ হাজার টাকা লাভের আশা করছেন তিনি। তিনি জানান, অন্যান্য সবজি চাষের পাশাপাশি শিম চাষে বেশি লাভবান হওয়া যায়। বীজ বপনের এক মাস পর জমিতে মাচা তৈরি করেছেন। প্রয়োজনীয় সার ও কীটনাশকের ছিঁটানোর পর গাছে এসেছে ফুল-শিম। ভাল দাম পেয়ে খুশি তিনি। চন্দ্রগঞ্জ বাজারের সবজি বিক্রেতা মুন্সি জানান, চাষিদের কাছ থেকে ৩০টাকা ধরে শিম কিনে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা দরে খুচরা বিক্রি করা হচ্ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, অনুকূল আবহাওয়া ও সময় মত বীজ বপন করায় এবার শিমের বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে বেজায় খুশি শিম চাষিরা। কিছু কিছু ক্ষেত্রে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চাষিদের সহযোগিতা করেছেন।
সুত্রঃ বাসস/ কৃপ্র/এম ইসলাম