কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ এবার কৃষকের মাঠে বসেই করা যাবে কৃষি জমির মাটির গুনাগুন পরীক্ষা। স্বল্প খরচে অল্পসময়ের মধ্যে পাওয়া ফলাফলের উপর ভিত্তি করে কৃষক মাঠে প্রয়োগ করতে পারবেন পরিমাণ মতো সার। কৃষিবিদরা বলছেন, এতে মাটির গুণাগুণের পাশাপাশি বাড়বে ফলন। আর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কৃষক পর্যায়ে সুফল পৌছেঁ দিতে দরকার ব্যাপক প্রচারণা।
গাজীপুরের কৃষক, আফজাল হোসেন। জমিতে ফসল ফলানোর আগে কৃষিবিদকে নিয়ে এসেছেন মাটি পরীক্ষা করতে। আগে এজন্য মাটি সংগ্রহ করে ল্যাবে নিয়ে যেতে হতো আর ফলাফল পেতে অপেক্ষা করতে হতো দুই থেকে তিনদিন। আর এখন সময় লাগবে সর্বোচ্চ ৪০ মিনিট। সয়েল সেফ মেশিনে মাঠে বসেই করা হবে এই পরীক্ষা।
কৃষিবিদ বলছেন, পরীক্ষা শেষে প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে ফসলের ধরণ অনুযায়ী, জমিতে সার দেয়াসহ নেয়া হবে পরবর্তী পদক্ষেপ। সেইসাথে সুষম সার প্রয়োগের ফলে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বাড়বে ফসলের উৎপাদন। একই সাথে প্রকল্পটি গ্রাম পর্যায়ে পৌঁছাতে পারলে কৃষক যেমন লাভবান হবে ফসল উৎপাদনে, অন্যদিকে, কর্মসংস্থান হবে অনেক তরুন উদ্যোক্তার। এমনটাই আশা করেন প্রকল্প পরিচালক। কৃষি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর ব্যবহার জনপ্রিয় করতে প্রচারণার পাশাপাশি প্রয়োজন কৃষকের সচেতনতা বাড়ানো।
বর্তমানে বিশ্বে প্রতি হেক্টর জমিতে সব ধরনের ফসলের উৎপাদন গড়ে প্রায় তিন টন হলেও বাংলাদেশে তা চার দশমিক পনের টন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রান্তিক পর্যায়ে কৃষিতে নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো গেলে উৎপাদনে রোল মডেল হতে পারে বাংলাদেশ।
সুত্রঃ সময় নিউজ টিভি/ কৃপ্র/এম ইসলাম