কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ বগুড়া জেলার ধুনটে বাঙ্গালী নদীর ভাঙনের কবলে পড়েছে ঈদগাহ মাঠসহ আটটি গ্রাম। অব্যাহত নদীভাঙনের ফলে বেশ কিছু চাষযোগ্য জমি এরই মধ্যে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে লিখিত দাবি জানিয়েছে গ্রামবাসী। এলাকাবাসী বলছে, ভাঙনরোধে দ্রুত উদ্যোগ না নেয়া হলে নদীতে হারিয়ে যাবে ধুনট উপজেলার আট গ্রাম।
জানা গেছে, বগুড়ার ধুনট উপজেলা গড়ে উঠেছে যমুনা ও বাঙ্গালী নদীর তীর ঘেঁষে। নদীতে পানি কমলে ও বাড়লে ভাঙন দেখা যায়। বর্ষা মৌসুমে নদীতে এবার ভাঙন হয় বেশি। অব্যাহত ভাঙনের মুখে রয়েছে ধুনট উপজেলার এলাঙ্গী ইউনিয়নের বিলচাপড়ী, হাসাপোটল, রাঙ্গামাটি, বিলনোতর, শৈলমারী, তারাকান্দি, চালারভিটা ও নবিনগর গ্রাম। এছাড়া এলাঙ্গীসহ আশপাশের গ্রামের বাসিন্দাদের ঈদের নামাজ আদায়ের একমাত্র রাঙ্গামাটি ঈদগাহ মাঠটিও নদীভাঙনের কবলে। তাই গ্রামবাসী ভাঙনের হাত থেকে ঈদগাহ মাঠসহ আটটি গ্রাম রক্ষা করতে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত দাবি জানিয়েছেন। গ্রামগুলো রক্ষায় দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান তারা।
বগুড়ার ধুনট উপজেলার রাঙ্গামাটি গ্রামের বাসিন্দা আবদুল মান্নান জানান, বাঙালি নদীর ভাঙনের কারণে অনেকেই ঘরবাড়ি ও জমিজমা হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে। এছাড়া একমাত্র ঈদগাহ মাঠটিও নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ভাঙন ঠেকাতে না পারলে চাষযোগ্য একটি জমিও অবশিষ্ট থাকবে না।
ধুনট উপজেলার এলাঙ্গী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ তারেক হেলাল বলেন, বাঙ্গালী নদীর ভাঙনের কবলে পড়ে আট গ্রামের মানুষের ঘরবাড়ি ও আবাদি জমি হুমকির সম্মুখীন। গ্রামগুলো রক্ষা করতে হলে নদীর তীর সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। গ্রামবাসী নদীভাঙন ঠেকাতে সংসদ সদস্য ও পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত দাবি জানিয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ থেকেও এলাকাবাসীকে সহযোগিতা করা হবে। এ নিয়ে কাজ শুরু করবেন। এলাকার একটি গ্রামও যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে বিষয়েও পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
সুত্রঃ বনিক বার্তা/ কৃপ্র/এম ইসলাম