কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পদ্মার চরে অবস্থিত চকরাজাপুর ইউনিয়ন। বালুর কারণে এই ইউনিয়নের প্রায় ৫ হাজার ২৮৬ হেক্টর জমি অনাবাদি ছিল। বর্তমানে এই জমিতে টমেটো, পেঁয়াজ, রসুন, মসুর, গম, সরিষা, আখ, ধান, হলদু, আদা ও শাকসব্জির পাশাপাশি ফল চাষ হচ্ছে। চরে কুল চাষ করে নতুন বিপ্লব ঘটিয়েছে এলাকার যুবকরা।
পদ্মার চরের পতিত এসব জমিতে কুল চাষে আত্মনিয়োগ করেছেন এলাকার শিক্ষিত বেকার যুবকরা। কম খরচে বেশি লাভের আশায় চকরাজাপুর ইউনিয়ন এলাকায় আপেল, বাউ ও থাই জাতের কুল চাষ করে তারা নতুন বিপ্লব ঘটিয়েছেন। এতে একদিকে তারা যেমন আর্থিকভাবে স্বচ্ছল হচ্ছেন, অন্যদিকে পুষ্টির ঘাটতি পূরণসহ জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন।
পদ্মার চরের কুল চাষীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বালিযুক্ত পদ্মার চরে এক সময় অন্য ফসল করতে হিমশিম খেতে হয়েছে। বর্তমানে এই পদ্মার চরে কুল চাষ করে ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটিয়েছেন এলাকার অনেক যুবকরা।
উপজেলার বাউসা সরকার পাড়া গ্রামের মিঠন আলী বলেন, আমি ধান, পেঁপে, কলা ও গরুর খামারের পাশাপাশি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে গত মৌসুমে মাত্র ১৬ শতাংশ জমিতে আপেল কুল চাষ করেছি। এই মৌসুমে প্রায় অর্ধ লক্ষ টাকার কুল বিক্রির আশা করছি। আমার কুল বাগান দেখে এলাকার অনেকে কুল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাবিনা বেগম বলেন, উপজেলায় দুই শতাধিক হেক্টর জমিতে কুল চাষ হয়েছে। এরমধ্যে পদ্মার চরে বেশি চাষ হয়েছে। তবে বিভিন্ন ফসলের পাশাপাশি আর্থিকভাবে কুল চাষেও আগ্রহী হচ্ছে চাষীরা।
কৃপ্র/এম ইসলাম