‘কুমড়া চাষ করে লাভবান সাতক্ষীরার কৃষকরা’
কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ হাইব্রিড মিষ্টি কুমড়া এটি ১২ মাস চাষ করা যায়। উত্পাদন খরচ কম। চাহিদা ব্যাপক। দামও ভালো পাচ্ছেন কৃ্রিসক্রা এ কুমড়া চাষ করে লাভবান হচ্ছেন সাতক্ষীরার কৃষকরা। ফলে কুমড়া চাষে ঝুঁকছেন তারা। সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার হিজলদি গ্রামের মোশারফ হোসেন ১২ মাসই সবজি চাষ করেন। তবে দুই বছর ধরে অন্য ফসলের পাশাপাশি হাইব্রিড জাতের মিষ্টি কুমড়া চাষ করছেন। তিনি বলেন, এ কুমড়া অন্য ফসলের সঙ্গেও চাষ করা যায়। চলতি মৌসুমে ৪ বিঘা জমিতে তিনি হাইব্রিড মিষ্টি কুমড়া চাষ করেছেন। মোশারফ হোসেন আরো বলেন, চার বিঘা জমিতে কমপক্ষে ১৬ টন কুমড়া উত্পাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। এতে প্রতি বিঘায় ২০ থেকে ২২ হাজার টাকার মতো খরচ হবে। এর বর্তমান বাজারদর ভালো। চার বিঘা জমির মিষ্টি কুমড়া বিক্রি করে প্রায় ২ লাখ টাকা হবে বলে জানালেন। প্রতি মণ মিষ্টি কুমড়া এখন বিক্রি হচ্ছে ৭৬০-৮০০ টাকায়।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার চুপড়িয়া গ্রামের নজরুল ইসলাম চলতি মৌসুমে তিন বিঘা জমিতে গোল আলুর সঙ্গে সাথী ফসল হিসেবে মিষ্টি কুমড়া চাষ করেছেন। এতে তেমন বাড়তি খরচ হয়নি। শুধু বীজ রোপণ করতেই ব্যয় করতে হয়েছে। তিনি বলেন, আলুর পর ক্ষেত থেকে কুমড়া উত্তোলন শুরু হবে। এতে তার লক্ষাধিক টাকা বাড়তি আয় হবে বলে জানান নজরুল ইসলাম।
সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, এবার সাতটি উপজেলায় হাইব্রিড মিষ্টি কুমড়া চাষ হয়েছে ১ হাজার ৪৮০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৩৫০, কলারোয়ায় ৪১০, তালায় ২১০, দেবহাটায় ১১০ , কালীগঞ্জে ২৪০, আশাশুনিতে ৮০ ও শ্যামনগরে ৭০ হেক্টর। সূত্রটি আরো জানায়, গেল বছরের তুলনায় এবার সাতক্ষীরায় কুমড়ার চাষ বেড়েছে প্রায় ৪০০ হেক্টর জমিতে। ওই সময় জেলার কুমড়া চাষ হয়েছিল ১ হাজার ৮০ হেক্টরে। চলতি বছর স্থানীয় জাতের তুলনায় হাইব্রিড মিষ্টি কুমড়া চাষ বেড়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা কাঁচামাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. রওশন আলী জানান, সাতক্ষীরায় হাইব্রিড মিষ্টি কুমড়ার চাহিদা খুবই ভালো। তাছাড়া সবজিটির দামও ভালো পাচ্ছেন কৃষকরা। তবে পাইকারির তুলনায় খুচরা বাজারে দাম আরো বেশি বলে জানান তিনি।
সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ কাজী আবদুল মান্নান জানান, সবজি হিসেবে মিষ্টি কুমড়া বেশ লাভজনক। সাতক্ষীরার বিভিন্ন এলাকার ক্ষেতের পাশাপাশি মত্স্যঘেরের ভেড়িতেও এটি চাষ করা হচ্ছে। হেক্টরপ্রতি ৩০-৩২ টন মিষ্টি কুমড়া উত্পাদন সম্ভব বলে জানান তিনি।
সুত্রঃ বনিক বার্তা/ কৃপ্র/এম ইসলাম